ভিডিও

দুইদিন ধরে পানির নিচে ফটিকছড়ি উপজেলা

প্রকাশিত: আগস্ট ২৩, ২০২৪, ০১:২০ দুপুর
আপডেট: আগস্ট ২৩, ২০২৪, ০২:২৫ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

নিউজ ডেস্ক:  বয়াবহ বন্যার ইতিহাসে আরেকটি ভয়াবহতার নাম লিখিয়েছে ২০২৪ সাল।  এই বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় উপজেলা ফটিকছড়ি। দুইদিন ধরে পানির নিচে ডুবে রয়েছে শত শত বাড়িঘর, ফসলি জমি, হাটবাজার ও দোকানপাট।

বন্যার পানি থেকে রক্ষা পেতে অন্তত অর্ধলক্ষ মানুষ গৃহছাড়া হয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে গেছেন। তবে আশার খবর শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সকাল থেকে বন্যার পানি সীমিত আকারে কমতে শুরু করেছে।

বন্যার্তরা জানান, গত ৫০ বছরেও ফটিকছড়িবাসী যেসব এলাকায় পানি উঠতে দেখেনি, সেসব এলাকা অন্তত ৫-৭ ফুট পানির নিচে তলিয়ে আছে। বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও পুরোপুরি নামতে কত সময় লাগে সেটাই দেখার অপেক্ষা।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বন্যার পানিতে উপজেলার পূর্ব সুয়াবিল, পশ্চিম সুয়াবিল, নাজিরহাট পৌরসভা, পাইন্দং, ভুজপুর, হারুয়ালছড়ি, শোভনছড়ি, সমিতির হাট, বাগানবাজার, হেঁয়াকো, নারায়নহাট ও সুন্দরপুর এলাকার অন্তত লক্ষাধিক মানুষের বাড়িঘর তলিয়ে আছে।

সুয়াবিল ইউনিয়নের নাসির উদ্দিন বলেন, ৫০ বছরের ইতিহাসে আমরা এমন বন্যা দেখিনি। দুইদিন ধরে বাড়িঘর ৮-১০ ফুট পানির নিচে তলিয়ে আছে। শত শত পরিবার বিভিন্ন উঁচু স্থান ও বহুতল ভবনে আশ্রয় নিয়েছে।

নাাজিরহাট পৌরসভার বাসিন্দা দুলাল হোসেন বলেন, আমরা ভয়াবহ বিপর্যস্ত অবস্থার মধ্যে আছি। বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে মানবিক সহায়তা প্রয়োজন।

ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার মুখোমুখি হয়েছে ফটিকছড়ি। গত বৃহস্পতিবার বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার পর থেকে উপজেলা প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবকরা বন্যাকবলিতদের উদ্ধার, নিরাপদ আশ্রয় ও খাদ্য সহায়তা প্রদান করছে।

তিনি আরও বলেন, শুক্রবার সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকায় বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। আজকের মধ্যে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশা করছি। পানি নেমে গেলেও দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের পাশে থেকে উপজেলা প্রশাসনের সহায়তা অব্যাহত থাকবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS