নিউজ ডেস্ক: লক্ষ্মীপুরে টানা পাঁচ দিনের বর্ষণে প্রায় ৪০ হাজার পুকুরের সব মাছ ভেসে যাওয়ায় মৎস্য খাতে প্রায় ৮০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। পুরো জেলায় টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা বেড়েই চলেছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে ধারণা করছে মৎস্য বিভাগ।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সকালে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, জেলায় চাষাবাদকৃত প্রায় ৫৪ হাজার পুকুর রয়েছে। এর মধ্যে ৪০ হাজার পুকুর ডুবে ৯০ শতাংশ মাছ ভেসে গেছে। ৫ হাজার ৩০০ হেক্টর মাছ চাষের জলাশয় পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে মৎস্য চাষিদের প্রায় ৮০ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হতে পারে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।
কমলনগর উপজেলার চরকাদিরা, চরমার্টিন, চরকালকিনি, লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের সমসেরাবাদ, লামচরী, লাহারকান্দি, শাকচর, টুমচর, দালাল বাজার ও ভবানীগঞ্জ এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় ১ সপ্তাহ ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে লক্ষ্মীপুরে। এতে সর্বত্র জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। একই সঙ্গে মৎস্য চাষিদের পুকুরগুলোও ডুবে গেছে। পরে চাষের মাছগুলো পুকুর থেকে ভেসে গিয়ে খাল-বিলে ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই বিভিন্নভাবে সেই মাছ শিকার করেছেন।
জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের কামাল হোসেন, টুমচরের মহিম উদ্দিন, চরকালকিনির আরিফ হোসেনসহ কয়েকজন মৎস্যচাষি জানায়, লাখ লাখ টাকা খরচ করে তারা মাছ চাষ করেছেন। কিন্তু টানা বর্ষণে ঘের-জলাশয় ভেসে গিয়ে ৭০-৮০ লাখ টাকার মাছ চলে গেছে।
সদর উপজেলার চর রমনী মোহন ইউনিয়নের মেঘনা নদী এলাকার মৎস্যচাষি জাকির হোসেন বলেন, পাঁচটি পুকুরে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ১৫ লাখ টাকার মাছ ছিলো। পানি ঢুকে অধিকাংশ মাছ বের হয়ে গেছে।
সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সারোয়ার জামান বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে আমরা সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠিয়েছি। তবে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আপাতত প্রণোদনার কোনো প্রকল্প নেই।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।