গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে রংপুর চিনিকল বন্ধ থাকলেও ভাল দাম পাওয়ায় নতুন করে বৃদ্ধি পাচ্ছে আখ চাষ। দীর্ঘমেয়াদি ফসল হলেও বন্যা সহনশীল, ব্যয় ও রোগবালাই কম হওয়ায় আখ চাষে আবারও আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকরা। তবে আখের বহুমুখী ব্যবহার নিশ্চিত করতে দ্রুত রংপুর চিনিকল চালুর দাবি আখ চাষিদের।
রংপুর চিনিকল চালু থাকাকালীন উপজেলার দরবস্ত, তালুককানুপুর, ফুলবাড়ী, নাকাইহাট, হরিরামপুর, মহিমাগঞ্জ, শালমারা, কোচাশহর, কামারদহ, গুমানিগঞ্জ, সাপামারা, কাটাবাড়ীসহ বেশকিছু ইউনিয়নে অধিকাংশ কৃষক আখ চাষ করতেন। এছাড়াও করতোয়া নদী অধ্যূষিত চর এলাকার কৃষকরা প্রচুর পরিমাণ জমিতে আখ চাষ করতেন।
কৃষকরা জানান, জয়পুরহাট চিনিকল ও স্থানীয়ভাবে আখের গুড় প্রস্তুতকারকদের কাছে চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎপাদিত আখ বিক্রির ক্ষেত্রে হয়রানি ছাড়াই ভাল দামে বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ায় অনেকেই আগ্রহী হচ্ছেন আখ চাষে।
গত দু’বছরের চেয়ে কয়েক গুন বেশি হয়েছে আখের আবাদ। রংপুর চিনিকলটি বন্ধ ঘোষণার কারণে বিগত কয়েক বছর আখ চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেও নতুন করে আখের আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। রংপুর চিনিকল সূত্রে জানা যায়, শুধু গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় নয় এবার চিনিকল জোন এলাকায় আখ রোপণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গত ২৩-২৪ আখ রোপণ মৌসুমে আখ রোপণ হয়েছিল ৩৫০ একর জমিতে। আর বর্তমান ২৪-২৫ মৌসুমে আখ রোপণ করা হয়েছে ৫৫৭ একর জমিতে যা গত বছরের তুলনায় ২০৭ একর বেশি। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এবছর ২শ’ ৮৭ হেক্টর জমিতে আখের চাষ করা হয়েছে। এছাড়াও চিবিয়ে খাওয়ার আখ চুইন ভ্যারাইটি ও কিউ-৬৯ জাতের আখ রয়েছে ৪০ হেক্টর জমিতে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মেহেদী হাসান বলেন, আখ দীর্ঘমেয়াদি ফসল হলেও আখের মধ্যে সাথী ফসল করায় এটি কৃষদের কাছে লাভজনক ফসল হয়ে উঠেছে। নানা জাতের আখ চাষে কৃষকদের আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।