স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়া সদরের মাটিডালি স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. লাল মিয়ার হুমকি ও চক্রান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। একই সাথে তারা জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি এবং জেলা শিক্ষা অফিসার ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে এর অনুলিপি প্রদান করেছে।
জানা গেছে, নানা অভিযোগ থাকায় গত ৫ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন প্রধান শিক্ষক মো. লালমিয়া চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার ঘোষণা দেন এবং তার হাতের লেখা দরখাস্তে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে তৎকালীন সভাপতি আব্দুল হামিদ তারার বরাবর দাখিল করেন।
এরপর হঠাৎ করে ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানে এসে শিক্ষার্থীদেরকে ভয়ভীতি ও বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে, তিনি পুর্বপদে বহাল থাকতে শিক্ষার্থীদেরকে উস্কে দেন। প্রলোভনে পড়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ লালমিয়াকে স্বপদে পুনর্বহাল রাখতে, বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেন তারা।
নির্বাহী অফিসার ফিরোজা পারভিন স্মারকলিপি গ্রহণ করেন এবং আগামী ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল আলিম জানান, আমাকে গত প্রায় ৬ মাস হলো ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। আমি সাধ্য অনুযায়ী আমার দায়িত্ব পালন করে আসছি।
গত ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুর আনুমানিক ১২ টার দিকে মো. লাল মিয়া স্যার বহিরাগত ছেলেপেলে নিয়ে এসে আমার সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এবং আমার রুমে অনধিকার প্রবেশ করে আমার চেয়ারে বসেন।
বিষয়টি বগুড়া জেলা প্রশাসক মহোদয় বরাবর জানানো হয়েছে। তিনি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবেন বলে আমরা আশাবাদী। এব্যাপারে সাবেক সভাপতি মাহবুব হামিদ তারার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বর্তমানে আর এই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি নই। সুতরাং এ বিষয়ে আমার ব্যক্তিগত কোনো কথা নেই।
তবে সাবেক সভাপতি ও এলাকার একজন সচেতন মানুষ হিসেবে বলতে পারি যে সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. লালমিয়া স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। শিক্ষাবোর্ডে তার পদত্যাগ পত্র জমা দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।