ভিডিও রবিবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪

শিগগিরিই পৃথিবীর আকাশে দেখা যাবে দ্বিতীয় চাঁদ

শিগগিরিই পৃথিবীর আকাশে দেখা যাবে দ্বিতীয় চাঁদ

বাংলা চলচ্চিত্রের বিখ্যাত গান, ‘আকাশেতে লক্ষ তারা চাঁদ কিন্তু একটারে’ শুনেছেন অনেকেই। রাতে আকাশের দিকে তাকালেও একটি চাঁদই দেখা যায়। তবে ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে পৃথিবীতে নতুন আরও একটি চাঁদ দেখা যাবে বলে জানিয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। নতুন চাঁদটি মূলত একটি ছোট গ্রহাণু। নাম ‘২০২৪ পিটি৫’। ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত দেখা মিলবে দ্বিতীয় চাঁদের। তবে খালি চোখে নয়, কমপক্ষে ৩০ ইঞ্চি ব্যাসের শক্তিশালী টেলিস্কোপের মাধ্যমে দেখা যাবে চাঁদটি।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, আকারে ছোট নতুন চাঁদটি অর্জুন গ্রহাণু বেল্টের অন্তর্গত। আর অর্জুন গ্রহাণু বেল্ট পৃথিবী থেকে প্রায় ৯ কোটি ৩০ লাখ মাইল দূরত্বে অবস্থিত। ফলে অনেক দূর থেকে পৃথিবীকে অনুসরণ করে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করবে। এরপর আবার অর্জুন গ্রহাণু বেল্টে ফিরে যাবে। ফিরে যাওয়ার আগে মাত্র দুই মাস চাঁদের মতো পৃথিবীর আকাশে দেখা যাবে।

পৃথিবীর আকাশে দ্বিতীয় চাঁদ দেখা যাওয়ার বিষয়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানী কার্লোস মার্কোস বলেন, অর্জুন গ্রহাণু বেল্টে থাকা গ্রহাণুটি পৃথিবী থেকে সর্বনিম্ন ২৮ লাখ মাইল দূরত্বে আসতে পারে। এ অবস্থায় ভূকেন্দ্রিক শক্তি দুর্বল হয়ে গ্রহাণুটি পৃথিবীর একটি অস্থায়ী চাঁদে পরিণত হতে পারে। যদিও গ্রহাণুটি পৃথিবীর চারপাশে একটি সম্পূর্ণ কক্ষপথ অনুসরণ করবে না। অনেকটা জানালায় উঁকি দেওয়ার মতো করে চলে যাবে গ্রহাণুটি।

আরও পড়ুন

নতুন এই ক্ষুদ্র চাঁদকে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা মিনি-মুন ইভেন্ট হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তাঁদের মতে, ‘স্বল্প সময়ের জন্য এ ধরনের গ্রহাণু আমাদের পৃথিবীকে আবর্তন করতে পারে। যেকোনো গ্রহাণুকে মিনি-মুন হওয়ার জন্য পৃথিবীর প্রায় ২৮ লাখ মাইলের কাছাকাছি আসতে হবে। এ অবস্থায় বস্তুটি অস্থায়ীভাবে পৃথিবীর আকর্ষণে আবদ্ধ হয়ে যায়।’

সূত্র: স্পেস ডটকম, ফোর্বস ডটকম

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মধ্যপাড়া পাথর খনিতে সর্বোচ্চ পাথর উৎপাদন

শেখ হাসিনার দোসরদের খুঁজে বের করে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে : রেজাউল করিম বাদশা

বগুড়ার সোনাতলায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নতুন গ্রেফতার

রংপুরের পীরগাছায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের পাইপ ও মেশিন গুড়িয়ে দিল প্রশাসন

টিএমএসএস এ জনবল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের কারণেই দুই যুগ আগে নিষিদ্ধ পলিথিন এখনও বাজারে