ভয়াবহ তাপপ্রবাহের কবলে ভারতের রাজধানী দিল্লি। গত আট দিনে সেখানে ১৯২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। গত ১১ জুন থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
চাঞ্চল্যকর এমন তথ্য দিয়েছে, এনজিও ফর হললিস্টিক ডেভেলপমেন্ট। তাদের রিপোর্টে বলা হয়, এখন পর্যন্ত এটাই সর্বাধিক মৃত্যুর রেকর্ড। গত ৭১ ঘণ্টায় সেখানে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে এখনও দিল্লিতে তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা সরকারি হাসপাতালগুলোতে বিশেষ নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন। গরমে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি যারা তাদের প্রতি বাড়তি গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। আপাতত হিটস্ট্রোকের রোগীদেরই অগ্রাধিকার দিতে বলেছে দেশটির সরকার।
তাপপ্রবাহে নয়াদিল্লিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০
ভারতে হিটস্ট্রোকে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪০ হাজার
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, নয়ডায় হিট স্ট্রোকের কারণে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ জনেরও বেশি লোক মারা গেছেন।
এনজিও ফর হললিস্টিক ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক সুনীল কুমার আলেদিয়া বলেন, ১১ জুন থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত চরম তাপপ্রবাহের কারণে দিল্লিতে ১৯২ জন মানুষের মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এই উদ্বেগজনক পরিসংখ্যানটি সুরক্ষার জন্য সক্রিয় পদক্ষেপের জরুরি প্রয়োজনকে তুলে ধরে।
এনজিওর একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে, তাপপ্রবাহের কারণে মারা যাওয়া মানুষের দাবিহীন মৃতদেহের ৮০ শতাংশই গৃহহীন মানুষ।
আলেদিয়া বলেন, বায়ু দূষণ, দ্রুত শিল্পায়ন, নগরায়ন এবং জঙ্গল কাটার মতো কারণগুলোর ফলে তাপমাত্রা বেড়েছে, যা গৃহহীনদের অবস্থাকে আরও খারাপ করে তুলেছে।
তিনি বলেন, এই সমস্যা সমাধানের জন্য শীতলকরণ কেন্দ্র স্থাপন, পর্যাপ্ত আশ্রয়ের ক্ষমতা নিশ্চিত করা, পানি বিতরণ করা এবং সহায়ক আবাসন ও পরিষেবার মাধ্যমে গৃহহীনতার অন্তর্নিহিত কারণগুলোকে সমাধান করা উচিত।
এদিকে দিল্লির বিপর্যয় মোকাবিলায় কর্তৃপক্ষ আলাদা গাইডলাইন প্রকাশ করেছে। হিট স্ট্রোক এবং গরম সংক্রান্ত অন্যান্য অসুস্থতার হাত থেকে বাঁচতে সাধারণ মানুষের কী কী করা উচিত, তা জানানো হয়েছে ওই গাইডলাইনে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।