ব্রাজিলের সাও পাওলো রাজ্যে উড়োজাহাজে বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হয়েছেন ৬২ জন। উড়োজাহাজে থাকা কোনো ব্যক্তিই বেঁচে ফিরতে পারেননি। যা নিশ্চিত করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
ভোপাস এয়ারলাইন জানায়, জোড়া ইঞ্জিনের টারবোপ্রোপ প্লেনটি দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য পারানার কাসকাভেল শহর থেকে সাও পাওলো রাজ্যের প্রধান বিমানবন্দরের দিকে আসছিল। কিন্তু ভিনহেদো শহরে আসতেই উড়োজাহাজটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাড়াভাবে পাক-খেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। উড়োজাহাজে ভেতর যাত্রী ছিলেন ৫৮ জন এবং বাকি চার জন ছিলেন ক্রু সদস্য।
কর্তৃপক্ষ জানায়, উড়োজাহাজটি একটি আবাসিক এলাকায় ভূপাতিত হয়। তবে এলাকায় থাকা কোনো ব্যক্তিই এর ফলে আহত হননি। শুধু একটি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে সেই ঘরের বাসিন্দাদের ওপর কোনো আঁচ পড়েনি। যদিও এলাকাটিতে নিমিষেই ছড়িয়ে পড়ে আগুনের ধোঁয়া। যে কারণে সঙ্গে সঙ্গেই জানানো হয় পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় হাসপাতালকে।
ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটর্যাডার২৪ এর মতে, উড়োজাহাজটি তৈরি হয়েছিল ২০১০ সালে এবং কাসকাভেল ছেড়ে যায় স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৫৬ মিনিটে। উড্ডয়নের দেড় ঘণ্টা পর বিমানটি থেকে সবশেষ সিগন্যাল পাওয়া যায়।
এ দুর্ঘটনায় একটি অনুষ্ঠানে শোক প্রকাশ করে লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা বলেন, 'আমাকে খুবই খারাপ একটি সংবাদের বাহক হতে হবে এবং আমি চাই, সবাই দাঁড়িয়ে পড়ুন যাতে করে আমরা এক মিনিট নীরবতা পালন করতে পারি। '
এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লুলা দা সিলভা লিখেন, 'খুবই দুঃখজনক। নিহতদের পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি আমার সমবেদনা জানাচ্ছি। '
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।