আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ধর্ষণের পর নারী চিকিৎসককে হত্যার ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গজুড়ে তোলপাড় চলছে। এই অমানবিক ঘটনা কেন্দ্র করে ক্রমেই ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি ফুঁসে উঠেছে সেখানকার শিক্ষার্থীসমাজ ও সাধারণ জনগণের বিরাট একটি অংশ। এমন পরিস্থিতিতে ধর্ষণের বিরুদ্ধে বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশন ডেকে আইন পাস করানো হবে বলে ঘোষণা দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।
তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবসে বুধবার (২৮ আগষ্ট) কলকাতার মেয়ো রোডের জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের হাতে আইন থাকলে আমরা অনেক আগেই ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রণয়ন করতাম। অনেক অপেক্ষা করেছি, আর নয়। আমি বিধানসভার স্পিকারকে অনুরোধ করবো যাতে আগামী ১০ দিনের মধ্যে বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশন ডাকতে। সেখানে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির বিল উত্থাপন করবো ও তা পাস করিয়ে রাজ্যপালের কাছে পাঠাবো।
রাজ্যপালের ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে মমতা বলেন, রাজাবাবু যদি বিল না পাস করেন, তাহলে সব মেয়ে ও মায়েরা রাজভবনের সামনে অবস্থান নেবে। এবার প্রেসিডেন্টের কাছে বিল পাঠিয়ে দিয়ে, দায় সারা কাজ করলে চলবে না।
‘রাজাবাবুর বিরুদ্ধে তো রাজভবনেরই এক কর্মীর শ্লীলতাহিনীর অভিযোগ উঠেছে। লজ্জা করে না! সেই নারী কর্মী এতদিন আতঙ্কের মধ্যে ছিল। আমরা তাকে সেখান থেকে তুলে নিয়ে অন্য জায়গায় চাকরি দিয়েছি, তার থাকার ব্যবস্থাটাও করে দিয়েছি।’
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, যারা ধর্ষণ করবে, তাদের একমাত্র শাস্তি ফাঁসি করলেই সব ঠান্ডা হয়ে যাবে। কিন্তু বিজেপি কেন ফাঁসির জন্য কঠোর সাজা আনছে না জানেন? কারণ, এই আইন করা হলে ওদের সব লোক জেলে ঢুকে যাবে।
এদিনের জনসভা থেকে ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবিতে একাধিক কর্মসূচি ঘোষণা করেন মমতা। তার মধ্যে শুক্রবার (৩০ আগষ্ট) পশ্চিমবঙ্গের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজার দাবিতে বিক্ষোভ করেবে তৃণমূল কংগ্রেস। শনিবার (৩১ আগষ্ট) সব জেলায় ও ব্লকে মিছিল করবে দলটি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।