স্পোর্টস ডেস্ক : ২০০৭ সাল থেকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর পর সবগুলো আসর খেলা ৯ দলের অন্যতম বাংলাদেশ। নকআউট পর্বে যেতে না পারা একমাত্র দলও এটি। এবারও যে বড় কিছু আশা করা যাবে, তেমন ইঙ্গিত মিলছে না। শান্ত তাই বাস্তবতা মেনে বলেছেন, ‘প্রথমত, আমাদের ভালো পিচে খেলতে হবে। অনেকে এটাকে অজুহাত হিসেবে দেখতে পারেন। কিন্তু আমরা ভালো পিচে খুব কম ম্যাচই খেলতে পারি।’
এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেছেন, ঘরে ভালো পিচ পেলেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাজে রেকর্ডে পরিবর্তন আসতে পারে। বাংলাদেশের পিচগুলোতে রান সেভাবে হয় না। লো স্কোরিংয়ের জন্যই প্রসিদ্ধ। বর্তমান দলটির একমাত্র সদস্য শুধু তাওহীদ হৃদয়েরই টি-টোয়েন্টি স্ট্রাইক রেট ১৩০ এর ওপর। সম্প্রতি তিন ফরম্যাটে অধিনায়ক নিয়োগপ্রাপ্ত শান্ত মনে করেন, ভালো পিচে খেললেই স্ট্রাইক রেট বাড়ানো সম্ভব, ‘দেখুন বিষয়টা ৬ মাসে পরিবর্তন সম্ভব নয়। আমরা যদি এক কিংবা দুই বছর ভালো পিচে খেলি, তাহলেই স্ট্রাইক রেট উন্নত হতে পারে।’
টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে নবম স্থানে থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে ঘরের মাঠে পাওয়ারহাউজ অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি লজ্জাজনক হারও দেখেছে। বিশেষ করে কয়েক দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হার তাদের সার্বিক অবস্থা আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র সিরিজের আগে দেওয়া এই সাক্ষাৎকারে বিশ্বকাপে নিজেদের সম্ভাবনা নিয়ে শান্ত বলেছেন, ‘আমরা সাম্প্রতিক সময়ে যেসব সিরিজ খেলেছি, বিশ্বকাপেও যদি তেমনটা পারি, সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে নিতে পারি, পরিকল্পনার সঠিক প্রয়োগ করতে পারি। তাহলে ভালো কিছু করার সুযোগ থাকবে।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।