হারতে কি কেউ চায়? ক্লাব কিংবা ফুটবল— বারবার শিরোপার নিশ্বাস দূরত্বে থামা হ্যারি কেইনও কখনও চায়নি। এবার আরেকবার মনেপ্রাণে জিততে চাচ্ছেন। ফাইনাল জিতে শিরোপা নিয়ে উদযাপন করার সৌভাগ্য এখনও হয়নি। জাতীয় দলের মতো ক্লাব ফুটবলেও বেশ কয়েকবার খুশি থাকতে হয়েছে রানার্সআপ হয়ে। ইউরো ফাইনালের আগে ইংলিশ স্ট্রাইকার তাই বলেই দিয়েছেন, জীবন বাজি রেখে হলেও জিততে চান। ঘোচাতে চান রানার্স আপের শাপ।
আজ মধ্যরাতে বার্লিনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে স্পেনের বিপক্ষে বসবে তাদের মহারণ। আরেকটি ধাপ মাত্র, অপেক্ষা মোটে নম্বই মিনিটের। শিরোপার খুব কাছ থেকে বহুবার হৃদয় ভাঙা কেইন এবার চান শাপমোচন করতে। ইংলিশ অধিনায়ক যেকোনো মূল্যে ফাইনালে স্পেনকে হারিয়ে ট্রফি নিয়েই ফিরতে চান ঘরে। এমনকি এই ট্রফির জন্য কেইন ক্যারিয়ারের সব অর্জনও বিনিময় করতে রাজি আছেন বলে মন্তব্য করেছেন।
ফাইনালের আগে সংবাদ সম্মেলনে কেইন বলেছেন, ‘এটা গোপন কিছু না যে আমি এখন পর্যন্ত দলীয় কোনো ট্রফি জিতিনি। কিন্তু প্রতিনিয়ত আরও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছি। এটা বদলানোর জন্য উজ্জীবিত হয়েছি। সুযোগ আছে অন্যতম বড় শিরোপাগুলোর একটি জেতার এবং দেশের হয়ে ইতিহাস গড়ার।’
২০০৯ সালে শুরু, হ্যারি কেইনের পেশাদার ক্যারিয়ারের পথচলা দেড় দশক হতে চলেছে। দীর্ঘ এই সময়ে অনেক রেকর্ড-কীর্তিতে নাম উঠেছে তার। বহু অর্জনে সমৃদ্ধ করেছেন ক্যারিয়ার। কিন্তু বড় এক আক্ষেপ রয়ে গেছে ইংলিশ তারকা স্ট্রাইকারের। এখন পর্যন্ত যে কোনো শিরোপা জিততে পারেননি তিনি। এবার ইউরো জিতে প্রয়োজনে ব্যক্তিগত সেই ট্রফিগুলোও ফিরিয়ে দিতে চান কেইন, ‘ইংলিশ হিসেবে আমি গর্বিত, এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। ক্যারিয়ারে আমি যা করেছি, একটি বিশেষ রাতের জন্য এবং ম্যাচটি জেতার জন্য সব বিনিময় করতে রাজি আছি।
১৯৬৬ বিশ্বকাপের পর আর কোনো শিরোপার দেখা পায়নি ইংল্যান্ড। অনেক নামী দামী তারকা এসেছেন, ফিরেছেন শূন্য হাতে। গত ইউরোতে শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেও শিরোপার দেখা পায়নি তারা। ইতালির কাছে টাইব্রেকারে হেরেছিল ইংলিশরা। আজ রাত একটায় শুরু হওয়া ফাইনালে তাদের শিরোপার পথে বাধা স্পেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।