ভিডিও

চোরাকারবারিদের নিরাপদ ট্রানজিট বেনাপোল কমিউটার ট্রেন

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০২৪, ০৫:১০ বিকাল
আপডেট: অক্টোবর ১৭, ২০২৪, ০৫:১০ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

নিউজ ডেস্ক: বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় পণ্য কম্বল, চকলেট, প্রসাধনীসহ আরও অনেক কিছু অবৈধ পথে আসছে। চোরাকারবারিদের জন্য ‘বেতনা এক্সপ্রেস’ ও ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ ট্রেন এসব পণ্য পরিবহনে নিরাপদ বাহন হয়ে উঠেছে।  

অভিযোগ রয়েছে, আইন প্রয়োগকারী বিভিন্ন সংস্থার সদস্যদের চোখের সামনে এসব কর্মকাণ্ড চললেও তারা নীরব ভূমিকা পালন করে। ট্রেনে কোনো তল্লাশি চালানো হয় না। এছাড়া বেনাপোল থেকে যশোর, খুলনা কোথাও চেকপোস্ট নেই। নেই বিজিবি বা পুলিশের পাহারা। ফলে চোরাকারবারিরা বেনাপোল থেকে ছেড়ে যাওয়া বেতনা ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন দুটিকে মালামাল পাচারের নিরাপদ বাহন হিসাবে ব্যবহার করছে। এরমধ্যে আবার নির্দিষ্ট থানা পার হতে দালালদের টাকা দিচ্ছে চোরাকারবারিরা।

বেতনা এক্সপ্রেস ট্রেন প্রতিদিন বেনাপোল থেকে সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে ও বিকেল ৫টায়- এই দুবার যাওয়া-আসা করে থাকে। আর বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি দুপুর ১টায় ছেড়ে যায় বেনাপোল থেকে। এসব ট্রেনে কম্বলের সঙ্গে মাদক, থ্রি-পিস, চকলেট, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রসাধনী, ইমিটেশন গহনা, সিগারেট, মোবাইল, কাপড়, কিসমিস, নিম্নমানের চা পাতা, আমদানি নিষিদ্ধ ওষুধসহ বড় বড় চালান নির্বিঘ্নে যশোর-খুলনাসহ বিভিন্ন স্থানে পাচার হয়ে যাচ্ছে। ফলে সরকার হারাচ্ছে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব।

বেনাপোল রেলওয়ে ফাঁড়ির দায়িত্বে নিয়োজিত এসআই মনিরুল ইসলাম বলেন, রেলের যাত্রীদের নিরাপত্তাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, রেললাইনের দুই পাশে ১০ ফিটসহ রেলের সব স্থাপনায় সংঘটিত অপরাধ রেলওয়ে পুলিশ দেখভাল করে। রেলে চোরাচালান বন্ধে অনেক কৌশল নিলেও তাদের অসহায়ত্বের কাছে কিছুটা নমনীয় হতে হয়। তারপরও ট্রেনে অভিযান চালানো হচ্ছে। চোরাচালান রোধে রেল পুলিশকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাসেল মিয়া জানান, রেলের দায়িত্বে রয়েছে রেলওয়ে পুলিশ। সে কারণে সেখানে থানা পুলিশের কোনো ভূমিকা নেই। তবে গোপন তথ্য পেলে অভিযান চালানো হয়।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS