ভিডিও

গাইবান্ধার সাঘাটায় বিকল্প ব্রিজ ভেঙে পড়ায় চরম দুর্ভোগ

প্রকাশিত: অক্টোবর ০২, ২০২৪, ০৯:৩৪ রাত
আপডেট: অক্টোবর ০২, ২০২৪, ০৯:৩৪ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

সাঘাটা (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : গাইবান্ধা-বোনারপাড়া সড়কে আলাই নদীর ওপর নির্মাণাধীন ফুটব্রিজ  সংলগ্ন বিকল্প (পুরাতর) ব্রিজটি  ভেঙে খালে পড়ে যাওয়ায় সড়কটিতে যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি বিচ্ছিন্ন থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। নদী পারাপারের আশপাশে আর কোনো বিকল্প সেতু না থাকায় সাঁতরিয়ে নদী পার হয়ে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাদিয়াখালী কাজী বাড়ি সড়কে মফুরজান নামক এলাকায় আলাই নদীর ওপর  পুরাতন সরু ব্রিজটি যানবাহন চলাচলের জন্য অনুপোযোগী হওয়ায় তা পরিত্যক্ত ঘোষণা করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর।

পরে ৪ কোটি ৪৭ লাখ  টাকা ব্যায়ে ৬২ মিটার দৈর্ঘ্য একটি পিসি গার্ডার ফুট ব্রীজ নিমার্ণ কাজ হাতে নেয়। পুরাতন ব্রিজটি বিকল্প হিসেবে চালু রেখে পাশে গত বছর ১২ ফেব্রুয়ারী নতুন ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। চলতি বছর ১২ মে এর মধ্যে ব্রিজটির নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করার কথা ছিলো। কিন্তু ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ও এলজিইডির কর্মকর্তদের গাফিলতির কারণে নির্মাণ কাজ ২০ ভাগের বেশি এগোয়নি।

এদিকে গত শুক্রবার সকাল আটটার দিকে বিকল্প (পুরাতন) ব্রিজটির পূর্ব অংশ ভেঙে নদীতে পড়ে যায়। ফলে নদীর দু’পারের মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এতে শিশুশিক্ষার্থীরাসহ গন্তব্যে যেতে পারছেন না সাধারণ মানুষ।

স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, এলজিইডির কর্মকর্তা ও ঠিকাদারের খামখেয়ালীতে পুরাতন ব্রিজটি ভেঙে পড়েছে। নতুন ব্রিজ নির্মাণ কাজ করতে গিয়ে ব্রিজের পিলারের নিচ থেকে মাটি উত্তোলন করার ফলে পুরাতন ব্রিজটি ভেঙে পড়েছে।

পদুমশহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুল হক বলেন, জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে খাল পারাপারের জরুরি ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য এলজিইডির গাইবান্ধা নির্বাহী প্রকৌশলী এবং সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু তাদের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো সারা মেলেনি। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর-গাইবান্ধার নির্বাহী প্রকৌশল সাবিউল ইসলাম বলেন,  জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘবে বিকল্প ব্রিজটির ভেঙে পড়া অংশে জরুরি ভিত্তিতে কাঠের সাঁকো দেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS