নিউজ ডেস্ক: গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত পলাতক আসামি ফিরোজকে সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে আটক করেছে র্যাব-১১।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাং রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়।
ফিরোজ সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি দক্ষিণ বাতেন পাড় এলাকার নবী হোসেনের ছেলে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, গত ৬ আগস্ট বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে থাকা বন্দিরা বিদ্রোহ করে। বিদ্রোহের সময় বন্দিরা কারাগার ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কারারক্ষীরা তাদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করলে বন্দিরা কারারক্ষীদের ওপর চড়াও হয়। চলমান দাঙ্গা-হাঙ্গামার এক পর্যায়ে বন্দিরা কারাগারের দক্ষিণ অংশের দেয়াল ভেঙে গর্ত করতে থাকলে তা প্রতিহত করা হয়। এ সময়ে অন্য দিকে কারা অভ্যন্তরের বৈদ্যুতিক খুঁটি দেয়ালের উপরে ফেলে মই বানিয়ে পশ্চিম দিকের দেওয়াল টপকে ২০৩ জন বন্দি পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় বুলেট ইনজুরিতে ৬ জন বন্দি মারা যায়। পলাতক আসামিগণ দেশে বিশৃঙ্খলা এবং সামাজিক অপরাধের সাথে জড়িয়ে যেতে পারে বিধায় তাদের গ্রেপ্তার করার জন্য র্যাব—১১ গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় এক অভিযানে আসামি ফিরোজকে আটক করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব আরও জানায়, ২০০৬ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকায় সালেহা বেগম নামে এক নারীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, সেদিন আটককৃত আসামি ফিরোজ ও তার সঙ্গীদের নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের বাতেনপাড়ায় ভিকটিম সালেহা বেগম এর বাড়িতে প্রবেশ করে ভিকটিম ও তার দুই জন শিশু সন্তান শাওন ও স্বপ্নাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে এলাকার লোকজন আহত নারী ও সন্তানদের চিটাগাং রোড শুভেচ্ছা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সালেহা বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন। আসামি ফিরোজ উক্ত হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন। এরপর ২০১৪ সালের ২০ এপ্রিল বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, ১ম আদালতের বিচারক মামুন উর রশিদ এ মামলায় ফিরোজকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করে। আটককৃত আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।