হাকিমপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দিনাজপুরের হাকিমপুর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানি স্বাভাবিক থাকলেও দাম কমছে না। ফলে কয়েকদিন ধরে কেজিতে ৩/৪ টাকা করে ওঠা-নামা করছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বন্দরের মোকামে গুণগত মানভেদে আমদানিকৃত পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৯১-৯৫ টাকা। আর খুচরা বাজারেও একই দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে কিছুদিন আগেও বন্দরে পাইকারি বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকার কাছাকাছি।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা জানান, ভারতে পেঁয়াজ উৎপাদন এলাকায় বন্যার কারণে ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে সেখানে দাম কিছুটা বেড়ে গেছে। এর প্রভাব আমাদের দেশেও পড়েছে। আগামী মাসে ভারতে পেঁয়াজের নতুন ফলন উঠলেই দাম কমে আসবে।
তারা জানান, দেশে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে আমরা ভারতসহ পাকিস্তান, মিশর, মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি করি। যাতে দেশি পেঁয়াজের সংকট বা সরবরাহ কমে গেলেও যেন ভোক্তাদের বেশি দাম দিয়ে পেঁয়াজ কিনতে না হয়। এই চেষ্টাই করা হয়। কিন্তু কিছুদিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করা হলেও হিলি স্থলবন্দরে দাম স্বাভাবিক পর্যায়ে আছে। যেখানে ভারতের পেঁয়াজ উৎপাদন এলাকাগুলোতে বন্যা হয়েছে। একারণে দামও কেজিতে ৮/১০ টাকা বেড়েছে। তারপরও আমরা পেঁয়াজের আমদানি অব্যাহত রেখেছি। ফলে হিলি বন্দরে দাম তেমন বাড়েনি।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী জানান, ভারতে অতিবৃষ্টি হয়েছে। এজন্য সেখানে ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাতে কিছুটা দাম বেড়ে গেছে। আবার পেঁয়াজ কিছুটা ভেজা হওয়ায় নষ্ট হচ্ছে। আগামী মাসে ভারতে পেঁয়াজের নতুন ফলন উঠলেই দাম কমে আসবে।
এদিকে হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তারা জানান, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি স্বভাবিক রয়েছে। প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজের শুল্কায়ন মুল্য ৪১০ ডলারে করা হচ্ছে।
তারা আরও জানান, এই বন্দরের মাধ্যমে ভারত থেকে কাঁচাপণ্য সহ সব ধরণের পণ্য আমদানি হয়ে পানামা ওয়্যারহাউজে আসে। দ্রুততার সাথে সেসব পণ্যের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সরকারের রাজস্ব আদায় সাপেক্ষে খালাসের অনুমতি দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।