গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি : চলতি বর্ষা মৌসুমে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় তিস্তার ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে শতাধিক পরিবারের বাড়িঘর। বর্তমানে তিস্তা নদীতে পানি কমতে থাকলেও ভাঙন বৃদ্ধি পেয়েছে উপজেলার লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের পশ্চিম শংকরদহ গ্রামে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে গঙ্গাচড়া তিস্তা সেতুর উত্তর প্রান্তের সংযোগ সড়ক।
চলতি বর্ষা মৌসুমের শুরুতে সেতুর উত্তর প্রান্ত সড়ক থেকে প্রায় এক কিলোমিটার পশ্চিমে ছিল তিস্তা নদী। অব্যাহত ভাঙনে গত ৪ মাসে প্রায় ৬শ’ মিটার পূর্বে সরে এসে সেতু সংযোগ সড়কের কাছাকাছি চলে এসেছে নদী। গত এক সপ্তাহে ওই গ্রামে ৪টি পরিবারের বাড়ি নদীতে ভেঙে গেছে।
এরা হলেন- মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে সাজু মিয়া (৫৪) ও দুদু মিয়া (৪৬), মৃত হোসেন আলীর ছেলে আলিমুদ্দিন (৭৫) এবং মৃত পেড্ডার ছেলে দুলাল মিয়া (৪৮)। এছাড়াও চলতি বর্ষা মৌসুমে উপজেলার চারটি ইউনিয়নে ২৫০টিরও বেশি পরিবার ভাঙন আতঙ্কে তাদের ঘরবাড়ি সরিয়ে নিয়েছে।
উপজেলার লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের শংকরদহ, পশ্চিম ইচলি, পূর্ব ইচলি, চল্লিশসাল, মর্ণেয়া ইউনিয়নের তালপট্টি, আলফাজটারী, নরসিংহ, হরিণচরা, কোলকোন্দ ইউনিয়নের চর মটুকপুর, চর চিলাখাল, মধ্য চিলাখাল ও নোহালী ইউনিয়নের বাগডহরা, মিনার বাজার এলাকায় তিস্তার ভাঙনে বিলীন হয়েছে এসব বাড়িঘর। এরমধ্যে সর্বোচ্চ ভাঙন কবলিত এলাকা হচ্ছে মর্নেয়া ইউনিয়নের গ্রামগুলো।
শংকরদহ এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল মোন্নাফ জানান, গত এক সপ্তাহে পশ্চিম শংকরদহ গ্রামে ৪ পরিবারের বাড়ি নদীতে ভেঙে গেছে। এদের ৩ জন বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিলেও দুদু মিয়ার কোন জায়গা জমি না থাকায় তিনি পাশের বাঁধের ওপর আশ্রয় নিয়ে পরিবারসহ দুর্বিসহ জীবন কাটাচ্ছেন।
গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ তামান্না বলেন, তাদের কাছে তিস্তার ভাঙনে বিলীন হয়ে যাওয়া এখন পর্যন্ত প্রায় ৮৫টি পরিবারের তালিকা আছে। ভাঙনের শিকার পরিবারগুলোকে বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করা হছে। এছাড়াও তাদের পুনর্বাসনের জন্য সরকারিভাবে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।