ভিডিও

জমিজমার বিরোধে স্কুলে তালা, সাড়ে ৩শ’ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩০, ২০২৪, ১০:৪৯ রাত
আপডেট: অক্টোবর ৩০, ২০২৪, ১০:৪৯ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

শাজহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার শাজাহানপুরে জমিজমার মালিকানা নিয়ে বিরোধের জের ধরে হলি হেরা স্কুল এন্ড কলেজ নামের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তালা দিয়েছে এক পক্ষ। এতে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে ওই প্রতিষ্ঠানের সাড়ে ৩শ’ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ। এ বিষয়ে দু’টি পক্ষই প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

উপজেলার বামুনিয়া মন্ডলপাড়া গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে আব্দুল হালিম জানান, তিনি ২০০২ সালে উপজেলার নয়মাইল এলাকায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের পূর্ব পাশে ‘হলি হেরা’ নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন।

২০১২ সালে মহাসড়ক সম্প্রসারণ কাজ শুরু হওয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি উচ্ছেদ হয়। এমতাবস্থায় মহাসড়কের পশ্চিম পাশে ১৪ শতক জমিতে তার চাচাত ভাই গোলাম রব্বানীর মালিকানাধীন একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে ‘হলি হেরা স্কুল এন্ড কলেজ’ এর কার্যক্রম চালু রাখেন আব্দুল হালিম।

অপরদিকে গোলাম রব্বানীর ভোগ দখলীয় ওই ১৪ শতক জমি ওয়ারিশ সূত্রে মালিকানা দাবি করেন তার ফুফাত ভাই আজিজুর রহমান। একপর্যায়ে ২০১৪ সালে আজিজুর রহমান ওই ১৪ শতক জমি আব্দুল হালিমের কাছে বিক্রি করে দেন।

তাই স্কুল শুরুর দিকে গোলাম রব্বানীকে বাড়ি ভাড়া দিলেও পরবর্তীতে জমি কেনার পর বাড়ি ভাড়া দেওয়া বন্ধ করে দেন স্কুল পরিচালক আব্দুল হালিম। এমতাবস্থায় বাড়িসহ ওই ১৪ শতক জমির দখল ফিরে পেতে আজ বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকালে স্কুলে তালা ঝুলিয়ে দেন গোলাম রব্বানী। ফলে বেকায়দায় পড়েছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় স্কুলের পরিচালক আব্দুল হালিম বাদি হয়ে শাজাহানপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে উভয়পক্ষকে শান্ত থেকে কাগজপত্র নিয়ে থানায় যেতে বলেছে।

অপরদিকে বাড়ির মালিক গোলাম রব্বানী জবর দখলের অভিযোগ তুলে তার সম্পত্তির মালিকানা ফিরে পেতে আইনানুগ সহায়তার জন্য বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের এক্সিকিউটিভ অফিসারের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন।

লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, পৈতৃক সূত্রে তিনি নয়মাইল এলাকার ৫৮৫৮ দাগের ১৪ শতক জমির মালিক। কয়েক বছর আগে তিনি ওই জমিতে বসতবাড়ি নির্মাণ করেন। তার চাচাত ভাই আব্দুল হালিম ২০১২ সালে বাড়িটি ভাড়া নিয়ে ‘হলি হেরা স্কুল এন্ড কলেজ’ এর কার্যক্রম শুরু করেন। কিছুদিন ভাড়াও দেন। তারপর ভাড়া দেওয়া বন্ধ করে দেন এবং ভাড়া চাইতে গেলে নানা রকম হুমকি-ধামকি দেন।

শাজাহানপুর থানার ওসি ওয়াদুদ আলম জানিয়েছেন, স্কুল কর্তৃপক্ষের লিখিত অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। দু’পক্ষকে শান্ত থাকতে বলা হয়েছে। কাগজপত্র দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS