তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : দেশের বৃহত্তম বিল চলনবিল। এই বিলের পানি নেমে যাবার সাথে সাথে বিলের পানিতে বিভিন্ন প্রকার হাঁসের খাবার শামুক, মাছ, পোকামাকড় ও লতাপাতা পাওয়া যাচ্ছে প্রচুর। আর এই খাবার খাওয়াতে বিভিন্ন এলাকার বাণিজ্যিকভাবে হাঁস পালনকারীরা এসেছে লক্ষাধিক হাঁস নিয়ে।
সরেজমিন বিল এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বর্তমানে এই মৌসুমে চলনবিলের বিভিন্ন মাঠ থেকে পানি নেমে যাওয়ায় ওই সকল জমি ও সাইট খালে মিলছে প্রচুর শামুক। অন্যদিকে বিলে শামুক খাওয়াতে নিয়ে আসা বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার হাঁসের খাবার খাওয়ার মনোমুগ্ধকর দৃশ্য শোভা পাচ্ছে বিল জুড়ে। প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত খাবার খাওয়াতে হাঁসের খামারিদের বাড়তি কোন ব্যয় করতে হয় না।
তাড়াশ পৌরসদর পূর্ব পাড়ার মো. জালাল উদ্দিন ৩৫০টি হাঁস নিয়ে বাঁধের পাশে ভায়োর (ছই) বানিয়ে অবস্থান করছেন। তিনি জানান, আমি একাই ওই হাঁসগুলোকে বিলের খাবার খাওয়াই। এখন কোন বাড়তি খাবার দিতে হয় না। তিনি আরও জানান, এখন প্রতিদিন প্রায় ২৫০টি হাঁস ডিম দিচ্ছে। প্রতিটি ডিম ১৭ থেকে ১৮ টাকা দামে হ্যাচারির লোক এসে নিয়ে যায়। তারা ওই ডিম থেকে বাচ্চা ফুটিয়ে বিক্রি করে।
বিনোদপুর গ্রামে ওসমান খামারি জানান, এক শ্রেণির ব্যক্তিরা বিল থেকে শামুক তুলে বিক্রি করে দিচ্ছে, যার জন্য বর্তমানে হাঁসের পর্যাপ্ত খাবার পাচ্ছি না। তবে ডিমের ভাল দাম থাকায় খামারিরা খুশি। বিলের মধ্যে অবস্থিত কুন্দইল, ভেটুয়া, দিঘীসগুনা,কামারশোন, মাকরশোন ও মাগুড়া এলাকায় বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় লক্ষাধিক হাঁস নিয়ে আসা হয়েছে প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ানোর জন্য। তারা ওই সমস্ত এলাকার মানুষের ভাল ব্যবহারে মুগ্ধ।
রংপুর বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. নজরুল ইসলাম জানান, প্রাকৃতিক খাদ্য খাওয়ানোর ফলে হাঁসের মাংস ও ডিম ক্যামিক্যাল মুক্ত থাকে যা মানবদেহের জন্য খুবই উপকারী। প্রাকৃতিক খাদ্য খাওয়ানোর ফলে হাঁসের রোগবালাই কম হয়ে থাকে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।