লালমনিরহাট প্রতিনিধি : এসিডে ঝলসানো লালমনিরহাটের তিস্তা নদীর চরে উদ্ধার হওয়া সেই তরুণীর মরদেহের পরিচয় পাওয়া গেছে। ওড়না দিয়ে পেছনে বাঁধা মেহেদি রাঙা দুই হাত। পরনে ছিল কালো রঙের বোরকা। মেহেদী রাঙা হাতে লেখা ছিল ‘আই লাভ ইউ। নিহত তরুণীর নাম জোসনা বেগম।
তিনি নীলফামারীর ডিমলা থানার খড়িবাড়ী এলাকার জহর আলীর স্কুল পড়ুয়া মেয়ে ও ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। গতকাল সোমবার দুপুরে আদিতমারী থানার ওসি মাহমুদ উন নবী মরদেহের পরিচয়ের বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে নিশ্চিত করেছেন। গত রোববার দুপুরে উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নের কুটিরপাড় বালুর বাঁধ এলাকার চর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
জানা যায়, ১৯ দিন আগে উপজেলার চাপানী এলাকার জহিদ মিয়ার সাথে বিয়ে হয় জোসনার। বিয়ের পরে চাচাতো বোনের বিয়েতে দাওয়াত খেতে নিজ বাড়িতে এসেছিল জোসনা। গত ২০ সেপ্টেম্বর বিকেলে নিখোঁজ হয় জোসনা। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে তাদের সন্দেহ যে জোসনা তার প্রেমিকের সাথে পালিয়েছে।
এদিকে নিখোঁজের চারদিন তীব্র স্রোতে ভেসে এসে মহিষখোঁচা ইউনিয়নের কুটিরপাড় বালুর বাঁধ এলাকার তিস্তা মাঝের চরে ওই মরদেহ আটকে যায়। পরে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। এরপর মরদেহ উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
আদিতমারী থানার ওসি মাহমুদ উন নবী বলেন, এ ঘটনায় আদিতমারী থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। মরদেহ মর্গে রাখা আছে। পরিবারের সদস্যদের কাছে জোসনার মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।