ভিডিও

রংপুরের কাউনিয়ায় টাকা দিয়ে নদী পার হচ্ছে দশ গ্রামের মানুষ

কাজে আসছে না সেতু

প্রকাশিত: অক্টোবর ০৭, ২০২৪, ১১:২২ রাত
আপডেট: অক্টোবর ০৭, ২০২৪, ১১:২২ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি : রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় তিস্তা শাখা মানাস নদীর ওপর পাকা সেতু নির্মাণ হয় দশ বছর আগে। বন্যায় সেতুটি হেলে পড়ে এবং দুই পাড়ের বিকল্প সড়ক ভেঙে যায়। দীর্ঘদিনেও তা সংস্কারের উদ্যোগ না নেওয়ায় দুর্ভোগে রয়েছে দশ গ্রামের মানুষ। টাকা দিয়ে নৌকায় পারাপার হওয়ায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন দুই পাড়ের লোকজন।

জানা যায়, উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ২০১৪ সালে সরকার ও ইউএসএআইডি সংস্থার অর্থায়নে তিস্তার শাখা মানস নদীর ৩৭ লাখ ২৪ হাজার ১৮৩ টাকা ব্যয়ে ১৭ মিটার দৈর্ঘ্যরে একটি বক্স সেতু নির্মাণ করে। প্রায় সাত বছর আগে বন্যায় সেতুটি হেলে পড়ে এবং দুইপাড়ের বিকল্প সড়ক ভেঙে যায়। স্থানীয়রা সেতুর দুইপাড়ে অস্থায়ীভাবে সাঁকো নির্মাণ করেন।

চলতি মাসে উজান থেকে নেমে আসা আকস্মিক বন্যায় পানির স্রোতে সেতুর সংযোগ সড়কটি ভেঙে যায়।
এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন স্থানীয় গোপীডাঙ্গা, আরাজী খোর্দ্দ ভূতছাড়া, মৌলভী বাজারসহ প্রায় ১০ গ্রামের লোকজন বিভিন্নস্থানে যাতায়াত করেন। এছাড়া লালমনিরহাটের রাজপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াতের ভরসা সেতুটি।

এর দুই প্রান্তের মাটি ধসে পড়ায় শিক্ষার্থীরাসহ হাজারও মানুষকে প্রতিদিন টাকা দিয়ে নৌকায় ঝুঁকি নিয়েই পারাপার হতে হচ্ছে। স্থানীয়দের দাবি, সেতুর দুইপাশে ধসে যাওয়া মাটির সংযোগ সড়কটি দ্রুত সংস্কার করে মূল সেতুর সাথে চলাচল উপযোগী করা হোক। সরকারি বরাদ্দ মিললে নতুন করে সেখানে সেতু নির্মাণেরও দাবি তাদের।

আরাজী খোর্দ্দ ভূতছাড়া গ্রামের কৃষক আমিন আলী বলেন, হেলে পড়া সেতুর দুইপাড়ে সংযোগ সড়ক না থাকায় টাকা দিয়ে নৌকায় নদী পার হয়ে এলাকার উৎপাদিত কৃষি পণ্য হাট-বাজারে নিয়ে যেতে হচ্ছে।  বালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনছাড় আলী বলেন, দুইপাড়ের লোকজনের ভোগান্তি লাঘবে জরুরি ভিত্তিতে সেতুর ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক সংস্কার করা প্রয়োজন। কিন্তু তা ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষে সম্ভব নয়। উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসন উদ্যোগ নিলে দুইপাড়ের মানুষের দুর্ভোগ কমবে।

সেতুটির সংযোগ সড়কের সংস্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান জেমি বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ সেতুটির এলাকা সরেজমিনে সার্ভে করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে ঢাকা থেকে একটি দল আসবে এবং তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবে। অর্থ বারদ্দ সাপেক্ষে নতুন করে সেতু নির্মাণসহ বিকল্প সড়কের কাজ করা হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহিদুল হক জানান, দ্রুত ক্ষতিগ্রস্থ স্থানে কাঠের সাঁকো নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চলতি সপ্তাহে সাঁকো নির্মাণ শুরু হবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS