ভিডিও

দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ চিনিকল পুনরায় চালুর সম্ভাবনার দাঁড় খুলতে শুরু করেছে

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৪, ২০২৪, ০৯:১১ রাত
আপডেট: অক্টোবর ১৪, ২০২৪, ০৯:১১ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

বোচাগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : সেতাবগঞ্জের চিনিকল চালু করা নিয়ে নতুন করে স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছেন বোচাগঞ্জের মানুষ। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বন্ধ হওয়া সেতাবগঞ্জ চিনিকল চালুর দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন ছাত্র-জনতা সহ শ্রমিক কর্মচারীরা।

অবস্থান কর্মসূচি, গণস্বাক্ষর, বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধনসহ ঢাকায় বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য খাদ্য কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। ছাত্র-জনতা, শ্রমিক-কর্মচারী, বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন মিলটি চালুর দাবি জানিয়ে আসছে।

এরই মধ্যে নতুন করে আশার আলো দেখিয়েছেন চিনি ও খাদ্য কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ড.লিপিকা ভদ্রের সেতাবগঞ্জ চিনিকল পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে। গত ৬ অক্টোবর তিনি সেতাবগঞ্জ চিনিকল পরিদর্শনে এলে মিলের কর্মকর্তা, কর্মচারী, আখচাষী. শ্রমিক ইউনিয়নের, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দও ছাত্র সমাজের নেতৃবৃন্দের সাথে মত বিনিময় করেন। এছাড়াও তিনি চিনিকলের কারখানা ঘুরে দেখেন।

এসময় তিনি সাংবাদিকদের জানান,সেতাবগঞ্জ চিনিকল একটি বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান। এই মিলটির কারখান আধুনিক মানের ও নিজস্ব অনেক জমি থাকার পরও কি কারণে মিলটিকে বন্ধ করা হয়েছিল তা প্রশ্ন থেকে যায়। তবে তিনি বলেন, আমি চেষ্টা করবো বন্ধ ৬টি মিলের মধ্যে সেতাবগঞ্জ চিনিকলটি গুরুত্ব রেখে দ্রুত সময়ের মধ্যে আখ মাড়াই চালু করা যায় সেই ব্যবস্থা করার।

তার এই কথায় বোচাগঞ্জের মানুষ নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন, দিনাজপুর জেলার একমাত্র ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান সেতাবগঞ্জ চিনিকলটির চাকা হয়তো এবার সচল হবে। উল্লেখ্য, কয়েক বছর আগেও আখ মাড়াই মৌসুম এলেই কয়েক ঘন্টা পর পর  মিলের সাইরেন বেজে উঠার শব্দ, বড় গাড়ীর লাইন, ট্রাক, ট্রাক্টর, নছিমন কিংবা গরুর গাড়িতে করে সারি সারি আখ ভর্তি গাড়ি মিলের গেটে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকতো।

মিলের কর্মকর্তা কর্মচারীদের পদচারনায় ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করা চিরাচারিত এই দৃশ্যটি গত কয়েক বছর ধরে আর চোখে পড়ে না। কর্মচঞ্চলতা না থাকায় এক সময়ের ব্যস্ত মিলরোডের সড়কটি এখন নির্জন সড়কে পরিণত হয়েছে।

আবাদি জমি সহ প্রায় ৩৮শ’ একর জমি থাকার পরও কোন অদৃশ্য শক্তি কারনে ২০২০ সালে মিলটির আখ মাড়াই বন্ধ ঘোষনা করে তৎকালীন সরকার। দেশের ১৫টি চিনিকলের মধ্যে আওয়ামী সরকার সেতাবগঞ্জ চিনিকলসহ ৬টি চিনিকল একসাথে বন্ধ ঘোষনা করে।

যে ৬টি চিনিকল বন্ধ করা হয়েছিল তার মধ্যে সেতাবগঞ্জ চিনিকলের লোকসান ছিল অনেক কম। পাশাপাশি আধুনিক যন্ত্রপাতি ও সবচে বেশি আবাদি জমি থাকার পরও এই হঠকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS