ভিডিও

ট্রায়ালের কথা বলে শোরুমের মোটরসাইকেল নিয়ে উধাও

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০২৪, ০১:১৬ দুপুর
আপডেট: অক্টোবর ১৯, ২০২৪, ০১:১৬ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

নিউজ ডেস্ক:  আশুলিয়ায় ক্রেতা সেজে শোরুমের মোটরসাইকেল ট্রায়াল দিতে গিয়ে সিভিআর বাইক নিয়ে পালিয়ে গেছে এক যুবক। এসময় দুইজনকে আটক করে রেখেছে দোকান মালিক হেলাল মিয়া।

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের ইয়ারপুর মধ্যে পাড়া এলাকার ভাই ভাই মটরস নামক শোরুমে এ ঘটনা ঘটে। 

আটককৃতরা হলেন- চোরের সঙ্গে আসা প্রাইভেটকার চালক লেবু মিয়া ও তার প্রতিবেশী দুলাল।

শোরুম মালিক মো. হেলাল জানান, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে প্রাইভেটকারে করে ৩ জন ব্যক্তি মোটরসাইকেল কেনার জন্য শোরুমে প্রবেশ করে। এদের মধ্যে একজন ছিল ছদ্মবেশী চোর। তিনি শোরুমে ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন মোটরসাইকেল দেখতে থাকে। এক পর্যায়ে তার CRV থাই মোটরসাইকেল পছন্দ হয়। পরীক্ষামূলকভাবে মোটরসাইকেল চালাতে গিয়ে সেটি রাস্তায় ফেলে দিয়ে একটু ক্ষতি করে। পরে তিনি ফোন করে আরেকজনকে শোরুমে নিয়ে আসে। এরপর তারা দামাদামি করে মোটরসাইকেলটির দাম ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা ঠিক করে। পরে তিনি আবারো মোটরসাইকেল ঠিক আছে কিনা তা দেখার জন্য ট্রায়ালে গিয়ে উধাও হয়ে যায়। দীর্ঘক্ষণ পার হয়ে গেলেও মোটরসাইকেল নিয়ে ফিরে না আসায় সাথে আসা প্রাইভেটকার চালক লেবু মিয়া ও তার প্রতিবেশী দুলালকে আটক করে রাখে শোরুম মালিক হেলাল মিয়া। 

চোরের পরিচয় জানতে চাইলে প্রাইভেটকার চালক লেবু মিয়া বলেন, আমি জিরাবো বাসস্ট্যান্ডে রেন্ট এ কারে গাড়ি চালাই। আমাকে দুই হাজার টাকায় ভাড়া করে নিয়ে আসছে বাইপাইল যাওয়ার জন্য। গাড়িতে আসার সময় তার পরিচয় জানতে চাইলে ওই চোর জানায় তার বাড়ি পার্শ্ববর্তী দুর্গাপুর এলাকায় এবং তার বাবা ব্যবসা করেন। তিনি একটি মোটরসাইকেল কিনবে বলেও জানায়। তার সাথে একটি ব্যাগ ছিল যার মধ্যে টাকা আছে বলে জানায়। পরে মোটরসাইকেল কেনার জন্য এই শোরুমে আসে। নামার সময় তিনি ব্যাগটি গাড়িতে রাখে এবং সেখানে টাকা আছে বলে আবারও জানায়। কিন্তু আমরা এখন ব্যাগ খুলে দেখলাম কোনো টাকা নাই, শুধু কাগজপত্র। আমাকে ভুল বুঝিয়ে প্রতারণা করে শোরুমে বসিয়ে রেখে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়েছে। 

আটকের বিষয়ে শোরুম মালিক হেলাল মিয়া বলেন, তারা ৩ জন একসাথে এসেছে এবং মোটরসাইকেল দরদাম করে একজন ট্রায়াল দিতে গিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে সাথে আসা বাকি দুজনকে আটক করেছি। মোটরসাইকেলের টাকা দিয়ে দিলে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হবে। 

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, মোটরসাইকেল চুরির এমন ঘটনা আমার জানা নাই। তবে চুরির ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে মোটরসাইকেল উদ্ধারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS