ভিডিও

অবশেষে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে দিনাজপুরের রাণীগঞ্জ গো-হাটিতে

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৩, ২০২৪, ০৭:৪২ বিকাল
আপডেট: অক্টোবর ২৩, ২০২৪, ০৭:৪২ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : অবশেষে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগলো দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার ঐতিহ্যবাহী রানীগঞ্জ গো-হাটিতে। জেলার বৃহৎ হাটগুলোর মধ্যে এটি একটি। প্রতিবছর এই গো-হাটি থেকে কয়েক কোটি টাকা রাজস্ব পায় সরকার।

তবে কোটি টাকা রাজস্ব দেওয়া এই হাটে উন্নয়নের ছোঁয়া। পূর্বে গো-হাটি ছিল রাণীগঞ্জ সরকারি স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে। বছর খানেক আগে গো-হাটি স্থানান্তর করা হয়। হাটের অবস্থান স্থানান্তর হলেও, ছিল না রাস্তা, শৌচাগার এবং হাটে আসা ক্রেতা বিক্রেতাদের রাত্রি-যাপন করার নির্দিষ্ট স্থান।

তবে দীর্ঘ কয়েক যুগ পর যেন নব রুপে সাজছে ঐতিহ্যবাহী রাণীগঞ্জ গো-হাটি। মহাসড়ক থেকে হাটে যাবার জন্য তৈরি করা হচ্ছে আধুনিক আরসিসি রাস্তা। হাটে আসা গবাদিপশু ক্রেতা বিক্রেতাদের জন্য তৈরি করা হয়েছে শৌচাগার।

এছাড়াও হাটে আসা ব্যক্তিদের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে একটি মসজিদ এবং হাটে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে আসা গরু, ছাগলসহ অন্য প্রাণিদের সহজেই পানি পান করানোসহ গোসল দেওয়ার জন্য ইট-সিমেন্ট দিয়ে তৈরি করা হয়েছে পানি ধরে রাখার হাউজ।

এসবের ফলে আধুনিক সকল সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা হলো এই হাটে। এতে করে হাটটিতে বৃদ্ধি পাবে ক্রেতা-বিক্রেতাসহ গবাদিপশু ব্যবসায়ীদের উপস্থিতি। বাড়বে কেনাবেচা। ভোগান্তি কমার পাশাপাশি বাড়বে সরকারের রাজস্ব।

ঘোড়াঘাট উপজেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, রাণীগঞ্জ গো-হাটির উন্নয়ন কাজের জন্য বরাদ্দ ২ কোটি টাকা। দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক থেকে হাটটিতে যাতায়াতের জন্য তৈরি করা হচ্ছে ১ হাজার মিটার আরসিসি রাস্তা। গত ১১ অক্টোবর এই রাস্তার উন্নয়ন কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল ইসলাম।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার রাণীগঞ্জ বাজারের হাইস্কুল সংলগ্ন এলাকায় ছিল গোহাটির অবস্থান। সপ্তাহে দু’দিন এই হাটে গরু-ছাগল কেনাবেচা হয়। এই দু’টি বাজার এবং মহাসড়কে অস্বস্তিকর যানজট সৃষ্টি হওয়ায় হাটটি প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে স্থানান্তর করা হয়।

নতুন স্থানে হাটটিতে যাওয়ার জন্য ছিল না তেমন কোন রাস্তা। হালকা বৃষ্টিতে লালমাটির রাস্তার রুপ নিতো কাদার স্তুপে। গবাদিপশু বহন করা তিন ও চার চাকার যানবাহন যাতায়াত করা ছিল দুস্কর। যার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হতো ব্যবসায়ীদের।

বিষয়টি নিয়ে ৩নং সিংড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাজ্জাত হোসেন বলেন, দেশের সকল জেলার ব্যবসায়ী এই হাটে আসেন। হাটটি থেকে সরকার প্রায় ১৮ কোটি টাকা রাজস্ব পায়। ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন ফান্ডে ১৫ শতাংশ হিসেবে আমরা প্রায় ২ কোটি টাকা পেয়েছি।

সেই টাকা দিয়ে রাস্তা নির্মাণ কাজ শুরু করেছি। এছাড়াও হাটের ভেতরে ৯টি শৌচাগার তৈরি করা হয়েছে। হাটের উন্নয়নে আমরা বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছি। বৃহৎ এই হাটের উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান থাকবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS