কোর্ট রিপোর্টার : বগুড়ায় স্ত্রী ফুলবানু (১৯) হত্যার দায়ে অভিযুক্ত স্বামী চাঁন মিয়ার (৪০) মৃত্যুদন্ডাদেশসহ ২০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
হাইকোর্টের অনুমোদন সাপেক্ষে আসামির গলায় রশি দিয়ে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে এই মৃত্যুদন্ডাদেশ কার্যকরের জন্য রায়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মৃত্যুদন্ডদেশপ্রাপ্ত আসামি চাঁন মিয়া বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার মানিকদীপা পদ্মপাড়ার চন্নু মিয়ার ছেলে।
বগুড়ার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত নং-২ এর বিচারক মোহা. জালাল উদ্দিন গতকাল বৃহস্পতিবার এই রায় দেন।
উল্লেখ্য, শাজাহানপুর উপজেলার মানিকদীপা পদ্মপাড়ার আফতাব হোসেনের মেয়ে ফুলবানুর সাথে চাঁন মিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তারা ঘর-সংসার করাকালে তাদের মধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে বিরোধ হয়। গত ২০০৫ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে তারা খাবার শেষে চাঁন মিয়া তার বাড়িতে স্ত্রী ফুলবানুসহ ঘুমিয়ে পড়ে। ওই দিন রাত ৪টার দিকে আসামি চাঁন মিয়া পারিবারিক বিরোধের জের ধরে গেঞ্জি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে স্ত্রী ফুলবানুকে হত্যার পর শাড়ি দিয়ে গলা বেঁধে লাশ ঘরের তীরের সাথে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার করে। পরের দিন সকাল ফুলবানুর মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে তার বাবা আত্মীয়-স্বজনসহ আসেন।
এ ব্যাপারে নিহত ফুলবানুর বাবা বাদি হয়ে শাজাহানপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ফুলবানুর স্বামী চাঁন মিয়াকে গ্রেফতার করলে সে তার স্ত্রীকে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দী প্রদান করে।
শাজাহানপুর থানার তৎকালীন এসআই আব্দুর রাজ্জাক মিয়া মামলাটি তদন্ত শেষে ওই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ ১৯ বছর পর আদালত এই মামলার রায় ঘোষণা করলেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।