ভিডিও

বিরোধে জেরে জমিতেই নষ্ট হচ্ছে বৃদ্ধের পাকা সরিষা ক্ষেত

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৪, ১০:২৯ রাত
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৪, ১০:২৯ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি : জয়পুরহাটের কালাইয়ে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে অসহায় বৃদ্ধ আফতাব আলীর পাকা সরিষা ক্ষেত কাটতে দিচ্ছে না প্রভাবশালীরা। ফলে জমিতেই নষ্ট হচ্ছে সরিষা ক্ষেত।

দখল নিয়ে মারপিটের ঘটনায় উভয় পক্ষের আদালতে মামলাও চলমান রয়েছে। পাকা সরিষা ক্ষেত কাটার জন্য বৃদ্ধ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও কোন সুরাহা না পেয়ে আতঙ্কে জীবনযাবন করছেন।

ওই মাঠে গিয়ে দেখা যায়, পাকা সরিষা গাছ বিবর্ণ রং ধারণ করে ফল ঝরে মাটিতে পড়ে যাচ্ছে। অথচ এটা আরও এক সপ্তাহ আগে কাটতে হতো। জমির মালিক বৃদ্ধ আফতাব আলী প্রভাবশালীদের বাাধার কারণে ফসল কাটতে পারছেন না। কাটতে গেলেই প্রভাবশালীরা দেশিয় অস্ত্র হাতে নিয়ে জমিতে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে।

জমির মালিক, প্রতিপক্ষ ও গ্রামবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, পঞ্চাশ বছরের বেশি সময় ধরে উপজেলার আহম্মেদাবাদ ইউনিয়নের বানিহারা গ্রামের মাঠে পাঁচ বিঘা জমি নিজ দখলে রেখে চাষাবাদ করে আসছেন বৃদ্ধ আফতাব আলী মন্ডল।

হঠাৎ করে সেই জমি একই গ্রামের বাসিন্দা আবু তাহের, তার ভাই আতাউর রহমান ও আশরাফ মিলে নিজেদের দাবি করেন। তারা ওই জমিগুলোতে বৃদ্ধের ফলানো পাকা সরিষা ক্ষেত কাটতে দিচ্ছে না। এরআগে সরিষা চাষের সময় বৃদ্ধের একমাত্র ছেলে আব্দুল আলিমকে প্রভাবশালীরা মারপিটও করেছে। ওই ঘটনায় উভয় পক্ষের দায়ের করা মামলা চলমান রয়েছে।

বৃদ্ধ আফতাব আলীর অভিযোগ, জমির দলিলপত্র সঠিক থাকার পরও কেন প্রতিপক্ষরা আমাকে এত নির্যাতন করছেন। আর কেনই বা তারা পাকা ক্ষেত কাটতে গেলে বাঁধা প্রদান করছেন। জমি যদি তাদেরই হয়, তাহলে আদালত রয়েছে, তারা জমি নিয়ে আমার বিরুদ্ধে মামলা করতে পারেন।

আদালত যে রায় দিবেন তা আমি মাথা পেতে মেনে নিব। তিনি আরও বলেন, আজ আমার জনবল নেই বলে পাকা ফসল কাটতে দিচ্ছেনা। আমার একমাত্র ছেলেকে তারা যেভাবে মারপিট করেছে তা আল্লাহ সহ্য করবেনা। আমি প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করছি।

প্রভাবশালী আবু তাহের বলেন, আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন আফতাব আলী এই জমিগুলো জোর করে নিজ নামে খতিয়ানভূক্ত করে নিয়েছে। খতিয়ান সংশোধনের মামলাও করেছি। উকিল বলেছে জমিগুলো দখলে নিতে হবে, তাই জমি দখলে নিতে ফসল কাটতে দিচ্ছি না। যা করার সে করতে পারে কিন্তু দখল ছাড়ব না। প্রয়োজনে জমিতে রক্তের বন্যা বয়ে দেওয়া হবে।

আহম্মেদাব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আকবর বলেন, আমার পরিষদে এ নিয়ে সালিশও হয়েছে। আফতাব আলীর নামে জমির সব কাগজপত্র সঠিক রয়েছে। আমি তাদের নিষেধও করেছি। খতিয়ান সংশোধন ও মারপিটের ঘটনায় মামলাও চলমান রয়েছে। আবার নতুন করে এই ঘটনা।

কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াসিম আল বারি বলেন, ফসল নষ্টের বিষয়ে মৌখিক ভাবে শুনেছি, তবে এ বিষয়ে থানায় কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS