ভিডিও

ব্যবসায়ীকে তুলে এনে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা

বগুড়ায় ২ জনের ৭ বছরসহ ১২ জনের কারাদন্ড

প্রকাশিত: মার্চ ০৫, ২০২৪, ১১:১৬ রাত
আপডেট: মার্চ ০৫, ২০২৪, ১১:১৬ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

কোর্ট রিপোর্টার : বগুড়া শহরের ব্যবসায়ী সোহাগ সরকারকে দোকান থেকে তুলে রাস্তায় এনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখমসহ হত্যার চেষ্টা মামলার রায়ে অভিযুক্ত ১২ আসামিকে পৃথক পৃথক ধারায় কারাদন্ড ও জরিমানা, অনাদায়ে আরো করাদন্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।

এদের মধ্যে ২ জনকে ৭ বছর করে কারাদন্ড দেয়া হয়। বগুড়ার যুগ্ম দায়রা জজ আদালত নং ২ এর বিচারক মোহাম্মদ হোসেন আজ মঙ্গলবার (৫ মার্চ) এই মামলার রায় দেন।

রায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে সোহাগ সরকারকে গুরুতর জখমসহ হত্যার চেষ্টার দায়ে বগুড়া শহরের চকসুত্রাপুর কসাইপাড়ার হাসান আলীর ২ ছেলে আসামি শফিকুলকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৩ মাসের কারাদন্ড ও আসামি সরিফকে ৩ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ১ মাসের কারাদন্ড, কছির প্রাং এর ৩ ছেলে আসামি জেল্লারকে ৬ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদন্ড, ঝন্টুকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ মাসের কারাদন্ড,আসামি বাটুলকে ৩ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ মাসের কারাদন্ড, চকসুত্রাপুর চাপড়পাড়ার মৃত আজাহারের ছেলে  আসামি ফুল্লা আলমকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদন্ড, মালগ্রাম উত্তরপাড়ার মৃত অন্টির ছেলে আসামি দিপুকে ৬ বছরের কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ১ মাসের কারাদন্ড,চকসুত্রাপুর জহুরুলপাড়ার রহমানের ছেলে আসামি রেজাউলকে ৪ বছরের কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমান অনাদায়ে আরো ২ মাসের কারাদন্ড,পশ্চিম গোদার পাড়ার মৃত কছিরের ছেলে আসামি জাহিদুলকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে  ২ মাসের কারাদন্ড, পালশার সরকারপাড়ার ঝন্টু সরকারের ছেলে আসামি রোপন সরকারকে ৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ মাসের কারাদন্ড,  ছিলিমপুর দক্ষিণপাড়ার সেকেন্দার আলীর ছেলে আসামি জহুরুল ইসলামকে ৪ বছরের কারাদন্ড ও ১ মাসের কারাদন্ড এবং জহুরুল নগরের হাজী আহসান আলীর ছেলে আসামি আশরাফ ওরফে রুশাদকে ৩ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ১ মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।

এই মামলার আসামি রেজাউল ও জাহিদুর আদালতে উপস্থিত ছিল। অপর ১০ আসামি পলাতক আছে এবং গ্রেফতারের পর হতে তাদেরও সাজা কার্যকর হবে। উল্লেখ্য, বগুড়া শহরের চকসুত্রপুর চামড়া গুদামের মজিবর সরকারের ছেলে ঝুমুর সরকার কর্তৃক দায়েরকৃত এই মামলয় অভিযেগে বলা হয়েছে যে, এই মামলার ১ হতে ৮ নম্বর আসামি ঠান্ডু হত্যা মামলার আসামি।

ঠান্ডু হত্যা মামলাটি তার ভাই সোহাগ ও মতিন দেখাশুনা করে আসতে থাকে। গত ২০০৯ সালে ২৫ অক্টোবর রাত পৌনে ৯ টার দিকে বাদি ঝুমুরের ভাই সোহাগ  ও তার বন্ধু পাশা  সাথে নামাজগড় মিজানের দোকানে চা পান করার সময় আসামিরা ঘিরে ফেলে।

এরপর আসামির ওই চায়ের দোকান হতে সোহাগ সরকারকে জোর করে রাস্তায় নিয়ে যায় এবং আসামিরা বলে যে ঠান্ডু মামলার তদবির করিছ তোকে ঠান্ডুর কাছে পাঠিয়ে দেব বলে আসামিরা ধারালো চাপাতি, ছোরা দিয়ে কুপিয়ে সোহাগের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে এবং বাম হাতের বৃদ্ধা আঙ্গুল বিচ্ছিন করাসহ সোহাগের শরীরের বিভিন্নস্থানে গুরুরতর জখম করে।

এ ব্যাপারে সোহাগের ভাই ঝুমুর সরকার বাদি হয়ে বগুড়া সদর থানায় ওই আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি পরিচালনা করেন বাদি রাস্ট্র পক্ষে এপিপি এড. শফিকুল ইসলাম আক্কাস (মিন্টু) ও এড. তাইফুর রহমান চারু এবং  আসামি পক্ষে এড. সান্তা দেব ও এড. আব্দুল মোত্তালেব নয়ন।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS