সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি : অভাব অনটন যে পরিবারের নিত্য সঙ্গী। সেই পরিবারের সদস্যদের মুখে দু’বেলা দু’মুঠো অন্ন তুলে দিতে মান্ধাত্বা আমলের ডোঙ্গা ব্যবহার করে ইরি- বোরো জমিতে সেচ দিয়ে ফসল ফলাচ্ছেন দিন মজুর আব্দুল লতিফ।
ডোঙ্গা দিয়ে পানি সেচ দেওয়া প্রসঙ্গে আব্দুল লতিফের স্ত্রী আনজু বেগম বলেন, চাল কেনার ট্যাকা নাই, মেশিন কিনমু ক্যামনে। তাই তো তারা দু’জন বর্গা জমিতে ডোঙ্গা দিয়ে পানি সেচে ধান চাষ করে বছরের খাবার ঘরে তোলেন।
বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৪-১৫ কিলোমিটার দূরে মূল বাড়ি গ্রাম। ওই গ্রামের দরিদ্র দিনমজুর আব্দুল লতিফের বাড়ির মাত্র ৬ শতক জমি ছাড়া কোন ফসলি জমি নেই । স্বামী-স্ত্রী ও দুই ছেলে’সহ চার সদস্যের সংসার তাদের। অন্যের জমি বর্গা নিয়ে ধান চাষ করেন।
বাড়ির পার্শ্বেই লোহাগাড়া খালের উপর প্রায় বিঘা দেড়েক জমিতে প্রতি বছরের মত এবারও ডোঙ্গার মাধ্যমে সেচ দিয়ে ধান রোপন করতে দেখা যায় তাদের। দরিদ্র দিনমজুরের ওই বর্গা জমিতে স্বামী-স্ত্রী দু’জন পালা করে সেচ দিতে দেখা গেছে। তাদের দুই ছেলের একজন শ্রবণ প্রতিবন্ধি এবং অন্যজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধি। অভাব
আব্দুল লতিফের স্ত্রী আনজু বেগম (৪২) বলেন, বছরের বেশিরভাগ সময় অন্যের জমিতে শ্রমিকের কাজ করে তার স্বামী।
ইরি-বোরো মৌসুমে বিঘা দেড়েক জমি বর্গা নিয়ে ধান চাষ করে । স্বামীর শারিরীক অবস্থাও তেমন ভালো না। তাই স্বামীকে সেচ কাজে সহযোগিতা করেন তিনি। এতে করে বছরের ৬ মাসের খাবার ওঠে তাদের ঘরে। এছাড়াও অসুখ-বিসুখ তো লেগেই রয়েছে। এছাড়াও দরিদ্র আব্দুল লতিফ বলেন, অভাব অনটন তাদের নিত্যসঙ্গী হলেও কোন জনপ্রতিনিধি তাদের দিকে ফিরেও তাকায় না।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সোহরাব হোসেন বলেন, আধুনিক যুগেও নদী ও খাল-বিল এলাকার কৃষক ডোঙ্গার মাধ্যমে জমিতে সেচ দিয়ে ধান রোপণ করে। এতে করে উৎপাদন খরচ কম হয়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।