ভিডিও

মধ্যরাতে ছাত্রীকে চা খেতে ডাকা শিক্ষকের বহিষ্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান

প্রকাশিত: মার্চ ০৭, ২০২৪, ০৭:০৫ বিকাল
আপডেট: মার্চ ০৭, ২০২৪, ০৭:০৫ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: যৌন হয়রানির দায়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মানব সম্পদ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের দুই শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত শিক্ষকদের বহিষ্কার চেয়ে আবারও প্রশাসনিক ভবনে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তদন্ত কমিটির কাজের সময় বেঁধে না দেওয়া এবং দুই শিক্ষকের নাম আসলেও একজনের বিরুদ্ধে তদন্ত করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।

ফের দুপুর ১২ থেকে ২টা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। তারা অভিযুক্ত শিক্ষকদের বহিষ্কার চেয়েছেন। এ সময় তদন্ত কমিটির কাজের সময় বেঁধে না দেওয়া এবং দুই শিক্ষকের নাম আসলেও একজনের বিরুদ্ধে তদন্ত করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তর্কে জড়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মোহাম্মদ মেহেদী উল্লাহ। তখন শিক্ষার্থীরা তাকে ‘দালাল’ বলে দুয়োধ্বনি দেন।

এ সময় আন্দোলনকারীরা বলেন, আমরা দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণসহ অভিযোগ করলেও তদন্ত কমিটিতে রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রের নাম প্রকাশ করা হয়নি। এছাড়াও তদন্ত কমিটির রিপোর্ট প্রতিবেদন জমার কোনো তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। অভিযুক্ত শিক্ষক সাজন সাহা এবং বিভাগীয় প্রধান রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রকে দ্রুত বিচার করে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

গত বুধবার তিন সদস্যের ‘উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিটি’ গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। রেজিস্ট্রারের কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

ট্রেজারার ও সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. আতাউর রহমানকে আহ্বায়ক করে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। অন্য দুই সদস্য হলেন- ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার ও সিন্ডিকেট সদস্য উম্মে সালমা তানজিয়া এবং শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজের অধ্যক্ষ ও সিন্ডিকেট সদস্য ড. এ কে এম আব্দুর রফিক।

উল্লেখ্য, গত ৪ মার্চ শিক্ষক সাজন সাহার বিরুদ্ধে ফেসবুকে প্রথম হেনস্তার বিষয়টি সামনে আসে। তার বিরুদ্ধে মধ্যরাতে চা পানের নিমন্ত্রণ, অংক বুঝাতে ব্যক্তিগত চেম্বারে ডাকা ও প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় নম্বর কমিয়ে দেওয়া এবং থিসিস রিপোর্ট তৈরিতে হয়রানি করার অভিযোগ করেন ওই শিক্ষার্থী।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS