স্টাফ রিপোর্টার : ক’দিন পরেই পবিত্র রমজান মাস। আর সংযমের এই মাসের আগে উত্তাপ ছড়িয়ে নিত্যপণ্যের বাজারে। রমজানের বাড়তি চাহিদাকে পুঁজি করে বেড়েছে প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম। চড়া দামে ঘাম ঝরছে সাধারণ মানুষের। কোন কোন পণ্যের বিক্রেতারা বলছেন, আগমী কয়েক দিনের মধ্যে কিছু পণ্যের দাম আরও বাড়বে।
গতকাল বগুড়ার ফতেহ আলী বাজারসহ বেশকিছু বাজার ঘুরে দেখা যায় বাড়তি দামের উত্তাপ। ১৪০/ ১৬৫ টাকা কেজির মুগ ডাল দাম বেড়ে ১৮০/২০০ টাকা, যে খেসারি ডাল আগে ৮৫/১০০ টাকায় বিক্রি হতো বর্তমানে তা বাড়তি দাম ১১৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
চিনির কেজি ১৩৮/১৪০, ছোলা ৯৫ থেকে দাম বেড়ে ১০৫/১১০, মসুরের ডাল প্রতিকেজি ১১০/১৪০, এক লিটার সয়াবিন তেল ১৬৩/১৬৫ টাকা এবং খোলা তেল ১৪৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, আর পাঁচ লিটার বোতলজাত তেল ৮শ’ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে। বেসনের কেজি ১২০, ডিমের হালিতে দু’টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে ৪৪ টাকা, ব্রয়লার মুরগি দাম বেড়ে ১৯০ এবং ককরেল মুরগি ৩০০ টাকায় বেচাকেনা হতে দেখা যায়।
প্রতিকেজি লুরু ও দাবাস খেজুর ৪৪০, আজওয়া এক হাজার টাকা, মরিয়ম ৯০০ এবং আল জাবের খেজুর ২০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। সাদাসেমাইয়ের কেজি ৮০ এবং মুড়ি ৭০/৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে উত্তাপ ছাড়াচ্ছে কাঁচা সবজির পণ্যও।
আলু মান ও জাতভেদে প্রতিকেজি ৩৫/৪০, পেঁয়াজ ৯০/১০০, বেগুন ৭০/৮০, কাঁচামরিচ ৬০/৭০, ছিম ৬০/৮০, করলা ও পটল ১০০, টমাটো, পেঁপেঁ ও কপি ৪০, গাজর ২০, খিরা ৬০, শশা ৫০, মটরশুটি ৬০/৭০, আদা ২২০, রসুন ২২০/২৪০, শুকনোমরিচ ৪০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।
প্রতিকেজি বিআর-৪৯ চাল ৫৪/৫৫, বিআর-২৮ চাল ৫৫, রঞ্জিত ৪৮/৪৯, নাজিরশালি ৭২ এবং মিনিকেট ও কাটারিভোগ চাল ৬৪/৬৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। এছাড়াও বাজারে বেশিরভাগ মাছের কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।