সিরাজগঞ্জের রাজনীতিতে নতুন চমক
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জে স্বামী-স্ত্রী একসাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন চমক সৃষ্টি করেছেন। এরা হলেন- সদর আসনের এমপি ড.জান্নাত আরা তালুকদার হেনরী ও তার স্বামী নবনির্বাচিত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ শামীম তালুকদার লাবু। দু’জনেই সিরাজগঞ্জ পৌর শহরের বাসিন্দা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। পাশাপাশি সফল ব্যবসায়ী।
ড.জান্নাত আর হেনরী। সিরাজগঞ্জের মানুষের কাছে এক পরিচিত মুখ। একাধারে তিনি জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী, রাজনৈতিক নেত্রী এবং সফল ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন ধরে সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক কর্মকান্ডে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ সদর-কামারখন্দ আসন থেকে নৌকা প্রতীকে বিপুল ভোটে এমপি নির্বাচিত হন।
শিক্ষকতা দিয়ে জীবন শুরু করা এই নেত্রী তার মেধা মনন কাজে লাগিয়ে স্বামীকে নিয়ে গড়ে তুলেছেন একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। পেয়েছেন আকাশ ছোঁয়া সাফল্য ও পরপর সেরা করদাতার পুরস্কার। জেলা ও কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। এখন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক পদে রয়েছেন।
রাজনীতি, ব্যবসা, সংসার, সাংস্কৃতিক সব কর্মকান্ডে নিজেকে সমান তালে মেলে ধরেছেন হেনরী। নারী অগ্রযাত্রায় নিজেকে অন্যদের কাছে উদাহরণ তৈরি করেছেন এই নেত্রী। তার বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। আর শ্বশুর সিরাজগঞ্জের ভাষা সৈনিক এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মোতাহার হোসেন তালুকদার।
হেনরীর স্বামী আলহাজ শামীম তালুকদার লাবু ৯ মার্চ সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের উপ-নির্বাচনে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। লাবু'র জন্ম সিরাজগঞ্জের রাজনৈতিক পরিবারে। তার বাবা প্রয়াত মোহাতার হোসেন তালুকদার ভাষা সৈনিক,বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর। স্বাধীনতা উত্তর সময়ে তিনি এমএনএ ছিলেন।
আমৃত্যু জেলা আওয়াম লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। সততা ও সাহসীকতার সাথে দিয়েছেন বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব। বীর যোদ্ধা বাবাদের আর্দশ ধারন করে তারা স্বামী-স্ত্রী আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে জেলার রাজনীতিতে নতুন চমক সৃষ্টি করেছেন।
স্বামী-স্ত্রী দুজনেই গুরুত্বপূর্ণ জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে এখন কি ধরনের সেবা এবং উন্নয়ন করতে চান এমন প্রশ্নে ড.জান্নাত আরা হেনরী জানান,আমরা প্রথমেই সিরাজগঞ্জের মানুষের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই। তারা আমাদের কতটা ভালবাসেন বিপুল সংখ্যক ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে তার প্রমাণ দিয়েছেন।
আমরা দু’জন মিলে পরিকল্পনা করে তাদের ভালবাসার প্রতিদান হিসেবে সিরাজগঞ্জকে একটি আধুনিক স্মার্ট উন্নত জেলা হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করবো।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।