বোচাগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার সেতাবগঞ্জ পৌরবাজারে রোজার শুরুতেই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের পাশাপাশি ইফতার সামগ্রীর মূল্যর দাম বেশ চড়া। দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ বাজারের ফর্দিতে মেলাতে পারছে না নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর চাহিদা।
রজমানের শুরুতেই গত মঙ্গলবার ও বুধবার উপজেলার সেতাবগঞ্জ পৌর কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি গরুর মাংস ৮শ’ টাকা, খাসির মাংস ৯৫০ টাকা, দেশি মুরগি ৬শ’ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ৩৫০ টাকা, বয়লার ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা রমানের পূর্বেই দাম ছিল অনেকটাই কম। অপরদিকে মাছের বাজারও রয়েছে চড়া প্রতি কেজি মাছের দাম বেড়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত।
এমনিভাবে কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেগুন ৭০ টাকা, দেশি আলু ৫০ টাকা, শসা ১শ’ টাকা, করলা ৮০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, ভেন্ডি ৮০ টাকা, লেবু হালি প্রতি ৭০ টাকা। এছাড়াও মসলা, ছোলা, বেসন, চিনির দাম বেড়েছে। ইফতারির বাজারেও পাল্লা দিয়ে দাম বেড়েছে। বিশেষ করে খেজুরের দাম ১২শ’ টাকা থেকে ৪শ’ টাকা পর্যন্ত প্রতিকেজি। আগে যেমন ৩ জনের পরিবারের ১শ’ টাকা ইফতার দিয়ে চলতো এখন সেখানে ২শ’ টাকা লাগছে। রমাজান মাস আসলে এখানকার সুযোগ সন্ধানি ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেয় তাদের ইচ্ছে মত।
এই মূল্যবৃদ্ধিতে সংসার পরিজন নিয়ে দু:চিন্তায় কাটছে দিনমজুরসহ খেটে খাওয়া মানুষ। এই তালিকায় মধ্যবিত্তরাও বাদ যায়নি। তাদেরও হিসেব করে চলতে হচ্ছে।
বাজার নিয়ন্ত্রণে ভোক্তা অধিদপ্তরের নিয়মিত নেই কোন নজরদাড়ী। বাজারের বিক্রেতারা নিজেদের খেয়াল খুশিমত বাড়িয়ে দিচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। উপজেলা পর্যায়ে পৌরসভা, উপজলো নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রতিনিয়তি বাজার মনিটরিং করলে হয়তো বা টেনে ধরা সম্ভব হবে দ্রব্যেমূল্যের লাগাম।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।