সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার মাঠেরহাট শ্মশান চৌকিদারেরঘাট এলাকার ধানক্ষেতে আব্দুল আউয়াল মিয়া (২৪) নামে এক ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। থানা পুলিশ তার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে।
বৃহস্পতিবার স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্ত্বিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ধানক্ষেত হতে গলাকাটাসহ গোটা শরীরে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে। আব্দুল আউয়াল গাইবান্ধা সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের বর্মতত গ্রামের মো. হাফিজার রহমানের ছেলে। সে দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার মাঠেরহাট চৌরাস্তা মোড়ে মোবাইল ব্যাংকিং ও ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা করে আসছিল। এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাবাদের জন্য ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলো- মো. জাকির হোসেন, মো. জুয়েল মিয়া, মো. রাসেল মিয়া, মো. লিটন মিয়া ও মো. খলিল মিয়া।
জানা গেছে, গত বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত আব্দুল আউয়াল দোকান থেকে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে ধানক্ষেতে সেচ মটরের পানি দিতে গিয়ে স্থানীয় একজন কৃষক মরদেহটি ধানক্ষেতে পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দেয়। স্থানীয়রা ছুটে এসে থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
নিহতের পিতা মো. হাফিজার রহমান জানান, প্রতিদিন রাত ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে বাড়িতে ফেরে সে। গত বুধবার রাত ২টা পর্যন্ত বাড়িতে না ফেরায় দোকানে খুঁজতে গিয়ে দেখি দোকান এবং তার কাছ থাকা সকল মোবাইল ফোন বন্ধ। সারারাত খোঁজার পর সকালে তার লাশ পাই। তিনি তার সন্তানের হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
থানার ওসি মো. মাহবুব আলম জানান, মরদেহটি ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকান্ডটির প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের জন্য পুলিশ তদন্ত করছে। ইতোমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে, তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।