ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার ধুনট উপজেলায় চেতনানাশক পদার্থ মিশ্রিত চানাচুর, বিস্কুট ও জুস খাইয়ে বৃদ্ধা নানীকে অচেতন করে তার নাতনিকে ধর্ষণচেষ্টা মামলায় খায়রুল ইসলামকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার (১৫ মার্চ) দুপুরের দিকে ধুনট থানা থেকে তাকে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া কারাগারে পাঠানো হয়েছে। খায়রুল ইসলাম উপজেলার মাঠপাড়া কমর উদ্দিন সেখের ছেলে।

মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভূক্তভোগী ওই মেয়েটি স্থানীয় একটি বালিকা বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। তার মা-বাবা জীবিকার তাগিদে গোপালগঞ্জ জেলা সদরে অবস্থান করেন। স্কুলছাত্রী তার বৃদ্ধা নানীর সাথে মাঠপাড়া গ্রামে বাবার বাড়িতে বসবাস করে।

ওই স্কুলছাত্রীকে প্রায়ই প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করে খায়রুল ইসলাম। এ বিষয়টি স্কুলছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে খায়রুলের পরিবারকে জানানো হয়। এতে স্কুলছাত্রীর উপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে খায়রুল। এ অবস্থায় ৩ মার্চ রাত সাড়ে ৭টার দিকে খায়রুল ইসলাম তার সহযোগী একই গ্রামের সাদেক হোসেনের সাথে চানাচুর, বিস্কুট ও জুস নিয়ে স্কুলছাত্রীর বাড়িতে যায়।

তারা নানান কৌশলে ওই ছাত্রীর নানীকে চানাচুর, বিস্কুট ও জুস খাওয়ায়। এ সব খাবার খাওয়ার কিছুক্ষণ পর অচেতন হয়ে পড়ে স্কুলছাত্রীর নানী। এ সুযোগে খায়রুল ইসলাম ওই স্কুলছাত্রীকে তার নানীর ঘরের ভেতর নিয়ে গিয়ে ধর্ষণচেষ্টা করে।

এ সময় স্কুলছাত্রীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে পৌছালে খায়রুল ইসলাম ও সাদেক হোসেন কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে স্কুলছাত্রীর স্বজনরা অচেতন অবস্থায় বৃদ্ধা নানীকে উদ্ধার করে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে ধুনট থানায় একটি মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় খায়রুল ইসলাম ও সাদেক হোসেনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামী খায়রুল ইসলামকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে।

ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈকত হাসান বলেন, ভিকটিমের জবানবন্দী রেকর্ড করার জন্য বগুড়া আদালতে পাঠানো হয়েছে। এই মামলার অপর আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।