একই পরিবারের ৩ জন গ্রেফতার
স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ায় চোর সন্দেহে সোহান শেখ ওরফে সোয়াল নামে এক যুবককে বিদ্যুতের খুঁটির সাথে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মোবাইল ফোন চুরির সন্দেহে তাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ নারীসহ একই পরিবারের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। নিহত সোহাল (২৫) বগুড়া সদরের ছোট কুমিড়া পশ্চিমপাড়ার আজিজুল হকের ছেলে।
নিহত সোহালের বড় ভাই স্বপন শেখ হত্যাকান্ডের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, গত বৃহস্পতিবার সকাল ৭ টার দিকে তার এলাকার মুন নামে এক নারীর একটি মোবাইল ফোন হারিয়ে যায়। এতে মোবাইল ফোনটি সোহাল চুরি করেছে বলে মুন ও তার পরিবারের সদস্যরা সন্দেহ করে।
এ সন্দেহ থেকে একই দিন সকাল ৯ টার দিকে মুন ও তার পরিবারের লোকজন এলাকার ইট বিছানো একটি রাস্তা থেকে সোহালকে একা পেয়ে আটক করে তাদের বাড়ির সামনে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলে। এরপর বাড়ির কর্তা রেজাউল শেখ ও তার পরিবারের সদস্যরা সোহালকে লাঠি-সোটা ও লোহার রড দিয়ে বেদম পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। কিন্তু সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিন রাত সোয়া ১১ টার দিকে সোহাল মারা যায়।
এ ব্যাপারে বগুড়া সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো: শাহিনুজ্জামান জানান, মোবাইল ফোন চুরির সন্দেহে বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে দড়ি দিয়ে বেঁধে বেধড়কভাবে পিটিয়ে সোহালকে গুরতর আহত করা হয়। পরে ওই হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোহাল মারা যান।
এ হত্যার ঘটনায় ৫ জনের নাম উল্লেখসহ আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত সোহালের বড় ভাই বাদি হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এ হত্যার অভিযোগে ছোট কুমিড়া পশ্চিমপাড়ার রেজাউল শেখ (৫৫), তার স্ত্রী শানু (৪৫) ও মেয়ে মুন (১৯) গ্রেফতার করেছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।