শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার শেরপুরে স্বামী পরিত্যক্তা নারীকে বাড়িতে আশ্রয় দিয়ে তার সাত বছরের শিশু মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার রাতে ভুক্তভোগী শিশুটির মা বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শেরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় শেরপুর শহরের ধুনটমোড় এলাকার ভাঙরি ব্যবসায়ী স্বপন মিয়াকে (৪০) অভিযুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু ঘটনার পর থেকেই গা-ঢাকা দেওয়ায় পুলিশ তাকে ধরতে পারেনি। শুক্রবার দুপুরে পৌর শহরের খন্দকারপাড়া এলাকায় এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, শিশুটির মায়ের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার গোপালগঞ্জ সদর থানা এলাকায়। তিনি স্বামী পরিত্যক্তা হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন এলাকায় প্লাস্টিকের বোতল কুড়িয়ে সাত বছরের ওই শিশু মেয়েকে নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। এরই ধারাবাহিকতায় বিগত ১৫ দিন আগে ওই নারী শেরপুর শহরে প্লাস্টিকের বোতল কুড়াতে আসেন।
এসময় শহরের ধুনটরোড এলাকায় অভিযুক্ত ভাঙাড়ি ব্যবসায়ী স্বপন মিয়ার সঙ্গে পরিচয় হয়। স্বপন মা-মেয়েকে নিজের ভাড়া বাড়িতে থাকার জন্য আশ্রয় দেয়। এদিকে শুক্রবার (১৫ মার্চ) দুপুরে ওই নারী মেয়ের খাবার কিনতে হোটেলে যান।
এসময় স্বপন শিশুটিকে বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে ওই নারী বাড়ি ফিরে শিশুটিকে বিবস্ত্র অবস্থায় ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। সেইসঙ্গে স্বপন তাকে দেখে পালিয়ে যায়। পরে মেয়েটি তার মাকে ঘটনাটি খুলে বলে।
স্থানীয়রা জানান, স্বপন মিয়ার বাড়ি গাইবান্ধার সদর থানা এলাকার টিনদহ গ্রামে। সে একজন ভাঙারি ব্যবসায়ী। শহরের ধুনট রোড এলাকার একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। পাশাপাশি ভাঙারি ব্যবসা করতেন।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল করিম রেজা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এই ঘটনায় থানায় মামলা নেওয়া হয়েছে।
সেইসঙ্গে অভিযুক্ত স্বপনকে ধরতে পুলিশি তৎপরতা চলছে। এছাড়া আজ রোববার (১৭ মার্চ) শিশুটিকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।