চাঁদ রাতে দাম কমে অর্ধেকে নামে
স্টাফ রিপোর্টার : পবিত্র ঈদ উল ফিতরকে সামনে রেখে ব্যবসা বদলিয়েছেন বগুড়ার দু’ডজন খানেক তৈজষপত্র ব্যবসায়ী। সারা বছর তৈজষপত্র বিক্রি করলেও রোজার সপ্তাহ খানেক যেতেই দোকানের তাক থেকে তৈজসপত্র নামিয়ে তাতে থরে থরে পাঞ্জাবি সাজিয়ে রেখেছেন।
মূলত নিম্নবিত্ত এবং নিম্নমধ্যেবিত্ত মানুষেরা এসব দোকান থেকে ঈদের জন্য পাঞ্জাবি কিনে থাকেন। বেচা কেনা এখন তেমন শুরু না হলেও রোজার ২০ থেকে ২১ টি শেষ হওয়ার পর পরিবর্তীত এই সব দোকানে জমে উঠবে পাঞ্জাবির কেনাকাটা।
প্রতি বছরের মত এ বারও বগুড়া নিউ মার্কেটের পূর্ব উত্তর দিকে যে পুঞ্জিভূত মার্কেট রয়েছে যেগুলোতে সারাবছর তৈজষপত্র বিক্রি হয়, সেই সব মার্কেটের দু’ডজনেরও বেশি দোকানে এখন পাঞ্জাবি বিক্রি হচ্ছে। রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন মার্কেট থেকে বিভিন্ন দামে পাঞ্জাবি এনে তারা বিক্রি করেন। পাঞ্জাবির পাশাপাশি পাজামাও বিক্রি হয় এই দোকান গুলোতে।
তৈষজ থেকে পাঞ্জাবি বিত্রেতারা জানান, রোজার মধ্যে বিয়ে বা অন্য কোন অনুষ্ঠান নেই বললেই চলে, তা ছাড়া রোজার সময় সাধারণ মানুষ তৈজষপত্র কেনা কাটা কম করেন। এ সময় সাধারণ মানুষ ঈদের কেনাকাটা করেন। তাই তৈজসপত্র কেনাকাটায় ভাটা পড়ে। বেচাবিক্রির খড়া কাটাতে সাময়িক ব্যবসায় পরিবর্তন আসে। রোজার মধ্যে তৈজসপত্র বিক্রি করলে যে লাভ হবে তার চেয়ে ভালো লাভ হয় পাঞ্জাবীর ব্যবসা করে।
এক ব্যবসায়ি জানান, বিভিন্ন ধরনের মানুষ আছে পাঞ্জাবী কিনতে। এজন্য ৩শ’ টাকা থেকে শুরু করে ৩ হাজার টাকার পাঞ্জাবিও পাওয়া যায়। খদ্দের যাতে ফিরে না যায় সে জন্য সব ধরনের পাঞ্জাবি রাখেন তারা। সাধারণ মানুষ কম দামের আশায় এই অতিথি দোকানগুলোতে পাঞ্জাবি কিনতে আসেন। গ্রাহকের ধরণ দেখে দাম দর করে পাঞ্জাবি বিক্রি করা হয়।
এসব পাঞ্জাবির দোকান থেকে পাঞ্জাবি কেনেন এমন একজন হলেন বগুড়া শহরের মালগ্রাম জিলাদারপাড়ার শামীম আহমেদ জানান, তিনি নিজের জন্য না হলেও অন্যদের দেওয়ার জন্য এই দোকান গুলো থেকে পাঞ্জাবি কিনেন। তিনি একটি গোপন তথ্য দিবেন বলে উল্লেখ করে বলেন, চাঁদ রাত অর্থাৎ ঈদের আগের রাতে পাঞ্জাবি দাম কমে যায়।
তিনি বলেন, ওই রাতে তিনি একাধিক পাঞ্জাবি কিনেন অন্যদের দেওয়ার জন্য। এই ক্রেতার কথার সত্যতা খুজতে গেলে এক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ঈদের আগের রাতে কেনা দামে হলেও বিক্রি করেন। মাল আটকে রেখে লাভ নাই। টাকা বের করার জন্য কেনা দামেই বিক্রি করেন তারা। এই ব্যবসায়ী আরও বলেন, অবিক্রিত মাল ফেরত দেওয়ার বদলে কমদামে বা কেনাদামে বিক্রি করা ভালো।
তা ছাড়া অবিক্রিত মাল ফেরত দিতে গেলে পাইকারদের কাছে ছোট হতে হয়। তাই যে টুকুন না হলে নয়, সেই দমে বিক্রি করি। বিশেষ করে রাত গভীর হলে দাম আরও কমে দেওয়া হয়। কারণ ঈদের পর আর একটিও বিক্রি হবে না। তবে চাঁদরাতে বেশি ভালো পাঞ্জাবি থাকে না। ভালোগুলো আগেই বিক্রি হয়ে যায়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।