ভিডিও

বগুড়ায় ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেলেন ৮৫ জন (ভিডিওসহ)

ওদের চোখে আনন্দ অশ্রু, মুখে হাসির ঝিলিক

প্রকাশিত: মার্চ ২৪, ২০২৪, ০৯:৪৬ রাত
আপডেট: মার্চ ২৪, ২০২৪, ১০:৫৩ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : মাত্র একশ’ ২০ টাকায়  পুলিশের চাকরি পেয়ে ওদের চোখে এখন আনন্দ অশ্রু আর মুখে হাসির ঝিলিক। বগুড়ায় মেধা আর যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখে ওরা ৮৫ জন পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি পেয়েছেন। চাকরি পাওয়া তরুণ-যুবা অধিকাংশই দরিদ্র ঘরের সন্তান। শুধু যোগ্যতা ও মেধার স্বাক্ষর রেখে চাকরি পেয়েছেন কৃষক,দিনমজুর, কাঠ মিস্ত্রি ও গামের্ন্টস কর্মীর সন্তানও।

চাকরি পেয়ে ওরা বিশ্বাসই করতে পারছিল না সত্যিই চাকরিটা পেয়ে গেছেন। তাদের চোখে মুখে এখনও বিষ্ময়। যে চাকরিটার জন্য কাড়ি কাড়ি টাকা ঘুষ দিতে হয়, সেই পুলিশ কনস্টেবল’র চাকরিটা পেয়ে গেছেন মাত্র একশ’ ২০ টাকায়।

গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে জেলা পুলিশের উদ্যোগে বগুড়া পুলিশ লাইন্স অডিটোরিয়ামে  কনস্টেবল পদে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী (পদোন্নতি প্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি) পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেন ও নির্বাচিত ৮৫ জন তরুণ ও তরুণীদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।

পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন, ভালো লাগছে একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা সত্যিকারের মেধাবী এবং জনসাধারণকে সেবা দিতে পারবে এমন প্রার্থীদেরই বেছে নিতে পেরেছি। এবার পুলিশ কনস্টেবল পদে দিন মজুর, কৃষক, কাঠ মিস্ত্রি, গার্মেন্টস কর্মীর ছেলে ও মেয়েও ১২০ টাকায় শুধু মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি পেয়েছেন। যা ছিল এক অনন্য দৃষ্টান্ত। এ ছাড়া চাকরি পেয়েছেন মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তানরাও।

পুলিশ সুপার বলেন, মুক্তিযুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধকারী বাহিনী বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তি অব্যাহত রাখতে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রেখে শুধু মেধা এবং প্রয়োজনীয় যোগ্যতার ভিত্তিতেই এবারে পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়েছে।

এই নিয়োগের ক্ষেত্রে কোথাও যাতে কোনও আর্থিক লেনদেন বা অন্য কোনও অনিয়ম না হয় সে ব্যাপারে গোপন তৎপরতা অব্যাহত রেখেই কনস্টেবল নিয়োগে সুষ্ঠুভাবে যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের প্রায় কয়েক মাস আগে থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা, লিফলেট বিতরণ এবং জেলার বিভিন্ন স্থানে ব্যানার টাঙানো হয়।

এবার আর্থিক লেনদেনসহ সব অনিয়ম ও সুপারিশ পরিহার করে সুষ্ঠুভাবে পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের বিষয়টি সম্পন্ন করতে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়। পুলিশ সুপার বলেন, নারী, পুরুষ সাধারণ মেধা কোটা ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা, পোষ্য ও এতিম কোটায় নিয়োগপ্রাপ্ত প্রত্যেকেই চাকরি পেয়েছেন নিজ নিজ যোগ্যতায়।

উল্লেখ্য,গত ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে পুলিশ কনস্টেবলের নিয়োগ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে লাইনে দাঁড়ায় জেলার ১২ উপজেলার ৩ হাজার ৮২৬ জন চাকরি প্রত্যাশী তরুণ-তরুণী। এদের মধ্যে ৮৯৫ জন লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ পায়।

এদের মধ্যে আবার লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ২৬৯ জন। এরপর মৌখিক ও মনোত্বাত্তিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে নিয়োগ পান ৮৫ জন। এর মধ্যে ৭২ জন পুরুষ সদস্য ও ১৩ জন নারী সদস্য নিয়োগ পেয়েছেন। সদ্য নিয়োগপ্রাপ্তদের শুভেচ্ছা জানানোর সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার, নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহসানুজ্জামান,পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসিবুল বেনজীর।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS