ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার ধুনট উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান নূরকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দুপুরের দিকে আসাদুজ্জামান নূরের বোন নাজমা খাতুন বাদি হয়ে থানায় এ মামলা দায়ের করেন। আসাদুজ্জামান নুর উপজেলার চালাপাড়া গ্রামের আফাজ উদ্দিনের ছেলে।
ওই মামলায় ধুনট উপজেলা কৃষকলীগের বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহম্মেদ ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শ্যামলসহ ৬ জনকে আসামী করা হয়েছে। পুলিশ এই মামলায় ফারুক আহম্মেদকে গ্রেফতার দেখিয়ে আজ মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠিয়েছে।
মামলা ও দলীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সদরপাড়া গ্রামের হেলাল হোসেনের ছেলে ফারুক আহম্মেদ উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। কিন্তু মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় ২০২৩ সালের ২৯ জুলাই ফারুককে দল থেকে বহিস্কার করে আসাদুজ্জামানকে উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
দলের একই পদ নিয়ে ফারুক আহম্মেদ ও আসাদুজ্জামানের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। আসাদুজ্জামানকে পদ ছাড়তে বলেন ফারুক আহম্মেদ। কিন্ত পদ না ছাড়ায় আসাদুজ্জামানের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে ফারুক। এ অবস্থায় সোমবার দুপুর ১টার দিকে আসাদুজ্জামান ধুনট শহরে লালনের চায়ের দোকানে বসেছিলেন।
এ সময় ফারুক ও শ্যামল লোকজন নিয়ে আসাদুজ্জামানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। আহত আসাদুজ্জামানকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার পরই শহরের জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে ফারুক আহম্মেদকে আটক করে পুলিশ।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈকত হাসান বলেন, আসাদুজ্জামানকে হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামী ফারুক আহম্মেদকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।