মিনার হোসেন, আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি : জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার ঐতিহাসিক গোপিনাথপুরের বিশাল এলাকা জুড়ে মেলা বসেছে। মেলার প্রধান আকর্ষণ ঘোড়া, মহিষ ও গরু। প্রতি বছর দোল পূর্ণিমায় এই মেলা বসে। আক্কেলপুর উপজেলা সদর থেকে ৮ কিলোমিটার এবং বগুড়া থেকে ৩৪ কিলোমিটার দূরে গোপিনাথপুরে বাস যোগে আসা যায়।
ট্রেন পথে আক্কেলপুর তার পর বাস বা অটো নিয়ে কুড়ি মিনিটের পথে মেলায় যাওয়া যায়। উত্তর জনপদের অন্যতম বৃহৎ এই গোপিনাথপুর মেলা। স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মনে করেন দোলযাত্রার পুর্ব রাত্রিতে শ্রীকৃষ্ণ ও বলরাম গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতেবাড়িতে যান এবং এ জন্য প্রতি বাড়িতেই পুজাঁ অর্চনা ভোগরাজ ও কীর্তন অনুষ্ঠিত হয়।
দোলযাএার দিন মূল মন্দির থেকে বিগ্রহ দোলমন্দিরে গমন করেন এবং ১৩ দিন সেখানেই অবস্থান করে।
ঘোড়া, মহিষ, গরু ছাড়াও এই মেলায় কাঠ ও স্টিলের আসবাবপত্র, কাপড়, মিষ্টি, মনোহারী নানাসামগ্রী পাওয়া যায়।
এবারের এই ঐতিহ্যবাহী মেলায় বাদশা, মহারাজা, কালরাজ, তুফান মেল, তাজিয়া, কুমার রাজা, দুলকি, বাহাদুর, বিজলিসহ আরও অনেক নামের ঘোড়া মেলায় এসেছে। মেলায় সর্ববৃহৎ ঘোড়া নিয়ে এসেছেন নওগাাঁর সাপাহারের মজিবর। তার ঘোড়ার নাম বাহাদুর।
দাম হেঁকেছেন আট লাখ টাকা। ডালিম নিয়ে এসেছেন রাজা-মহারাজা এবং তার দাম হেঁকেছেন আট লাখ টাকা। ক্রেতা দাম বলেছেন সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা। মেলায় বিপুল সংখ্যক ঘোড়ার পাশাপাশি মহিষও আমদানী হয়েছে প্রচুর।
মেলায় ভারত হতে বিশাল আকৃতির আমদানীকৃত বন্য মহিষ এসেছে । তবে মেলায় বেচাকেনা ধীর গতিতে চলছে। ব্যবসায়ী মালেক আলী বলেন মেলায় ঘোড়া, মহিষ এবং গরুর বাজার বেশ ভাল। তবে মেলার মূ আকর্ষণই হলো মহিষ ও ঘোড়া। মেলার পার্শ্ববর্তী আলী মামুদপুরের রাজ্জাক আলী বলেন মেলাকে কেন্দ্র করে আশেপাশের উপজেলার মানুষের আত্মীয় স্বজন জামাই মেয়ের আগমন ঘটে।
মেলার সেবাইত রণেন্দ্রকৃষ্ণ প্রিয়া বলেন দেশ ভাগ হওয়ার পুর্বে মেলায় উট, দুম্বা, হাতিসহ ভারতীয় অনেক অকর্ষণীয় পশু মেলায় আসত। পাঁচ শ’ বছরের পুরোনো এই মেলা। মেলায় আইন শৃংখলা স্বাভাবিক রাখতে স্বেচ্ছাসেবকসহ পুলিশের কাম্প রয়েছে।
১৩ দিনে মূল মেলা শেষ হলেও কাঠ ও কম্বলের মেলা আরো ১৫দিনের মত থাকে । তবে মেলায় প্রচুর ক্রেতা সহ দর্শনার্থীদের সমাগম হয়ে থাকে। তবে এবার রোজার কারণে মেলার অবস্থা খুব একটা ভাল নয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।