উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : রুম ঝুম বাজেরে বাজে বাংলাদেশের ঢোল। টাকডুম টাকডুম বাজাই বাংলাদেশের ডোল। বাংলাদেশে আসি আসি করছে বাংলা নববর্ষ। শুরু হবে বাংলা সংস্কৃতি তথা বাঙ্গালীর প্রাণের উৎসব বাংলা নববর্ষ। আবার জমবে মেলা হাটতলা বটতলা। তাতে মেতে উঠবে নারী পুরুষ ও শিশুরা।
বাংলা নববর্ষে এদেশে প্রাচীন বাদ্যযন্ত্র ঢোলের রয়েছে এক বিশেষ অবস্থান। অতি প্রাচীন বাদ্যযন্ত্র ঢোল। মধ্যযুগের মঙ্গলকাব্যে ঢোলের কথা উল্লেখ রয়েছে। পহেলা বৈশাখের লাঠিখেলা, পাতা খেলা, বাংলার নৌকাবাইচ, কুস্তি, কবি গানের আসর, জারিগান, সারিগান,গাজনের গান, বাউল গান, যাত্রাগানসহ বিভিন্ন ধরণের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে ঢোলের ব্যবহার হয়ে থাকে।
বাঙ্গালীর প্রাণের উৎসবে মেতে উঠা শিশুদের বিনোদনের কথা ভেবে ছোট ছোট খেলনা ঢোল বানিয়ে পথে নেমেছেন জুড়ান আলী। জুড়ান সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর গ্রামের নুকালী গ্রামের বাসিন্দা। বয়স ৭০ জাড়িয়ে গেছে। ভারী কোন কাজ তিনি করতে পারেন না। তাই নাতী নাতনী বয়সের শিশুদের জন্য খেলনা ঢোল বিক্রি করছে পথে পথে। তিনি জানান, অতি নিকটে ঈদ।
ঈদের পর আসবে বাংলা নববর্ষ। বসবে বৈশাখী মেলা। তখন শিশু আসবে মেলায়। তাদের কিনে দেওয়া হবে নানা ধরণের খেলনা। আমি আগামী দিনের শিশুদের সাথে দেশিয় বাদ্যযন্ত্রে পরিচয় করিয়ে দিতেই খেলনা ঢোল বানিয়ে পথে নেমেছি।
শিশুদের সাথে বাংলা সংস্কৃতির পরিচয় করিয়ে দিতেই অনেকে ঢোল কিনছেন। একশত টাকায় এই ঢোলের সাথে দেওয়া হয় দুটি কাঠি। শিশুর কাঠি দুটি দিয়ে ঢোল বাজাবে এবং আনন্দে মেতে উঠবে। সেই সাথে ঢোলের দামে চলবে আমার সংসার।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।