হরিপুর (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি : কুলিক নদের ওপর একটি সেতুর অভাবে ভোগান্তিতে রয়েছে হরিপুর ও রানীশংকৈল উপজেলার ১০ গ্রামের শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষ। ঝুঁকিপূর্ণ নরবড়ে বাঁশের সাঁকোই তাদের চলাচলের একমাত্র ভরসা।
হরিপুর উপজেলার দিলগাও গ্রামে ৫০ মিটার লম্বা বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করছেন স্থানীয়রা। গত শনিবার সকালে গিয়ে দেখা যায় ভ্যান, সাইকেল, মোটরসাইকেল চালিয়ে নদের দুই পাশের গ্রামে যাতায়াত করছেন সকলে।
স্থানীয়রা জানায়, ব্রিজ না থাকায় নড়বড়ে এ সেতুতে প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা। বর্ষা মৌসুমে সাঁকোটি ভেঙে গেলে দুর্ভোগের শেষ থাকে না বাসিন্দাদের। বিশেষ করে রোগীদের হাসপাতালে আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে বিপাকে পড়েন তারা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বারবার আশ্বাসেও সেখানে হচ্ছে না কোন সেতু।
জানা যায়, হরিপুর উপজেলার ৬নং ভাতুরিয়া ইউনিয়ন ও রানীশংকৈল উপজেলার লেহেম্ব ইউনিয়নের লোকজন প্রায় ২০ বছর ধরে দিলগাঁও গ্রামে কুলি নদের কেল্লা মনির ঘাটে বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল শুরু করে।
তখন থেকে স্কুল-কলেজ, হাট-বাজার, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ ভাতুরিয়া ইউনিয়নের, ঝাঁরবাড়ি, টেংরিয়া, দিলগাঁও, চাপাসার ও মুলকান এবং লেহেম্বা ইউনিয়নের বশতপুর, লেহেম্বা, বর্ম্মপুর, বদনকন্ড, বিরাশি, চাপোর, পাতিপুর এই সকল গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ ওই সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করছেন।
স্থানীয়রা বলেন, বর্ষা মৌসুমে সাঁকোটি পানির স্রোতে ভেঙে যায়। তখন মানুষের দুর্ভোগের শেষ থাকেনা। জমি চাষাবাদের জন্য খড়া মৌসুমে বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করলেও বর্ষা মৌসুমে পরতে হয় মহা বিপাকে। শিক্ষার্থীরা জানায়, সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে ভয় লাগে।
বর্ষাকালে অনেক পথ ঘুরে কলেজে যেতে হয়। সময়মত কলেজে যাওয়া যায়না। তাই এখানে একটি সেতুর দরকার। ইউনিয়ন চেয়ারম্যার শাজাহান সরকার বলেন, দিলগাঁও ঘাটে একটি ব্রিজের জন্য ঠাকুরগাঁও-২ সংসদ সদস্যকে জানানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।