চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি : আওয়ামী লীগ নেতার ছত্রছায়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধের জায়গা দখল করে মাটি ভরাটের অভিযোগ উঠেছে এক সাবেক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। আবার সেই জায়গা ভরাট করা হচ্ছে গুমানী নদী থেকে কেটে আনা মাটি দিয়ে।
আর ভরাটের জন্য সেখানে বসবাসরত একটি পরিবারের গাছপালা কেটে সবজির মাচা ভেঙে ফেলা হয়েছে। এই মাটি ভরাট করার ফলে একটি সড়কের প্যালাসাইটিং এর কাজও বন্ধ হয়ে গেছে।
পাবনার চাটমোহর উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের মির্জাপুর কোবাদ বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। নিমাইচড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক নেতার ছত্রছায়ায় গুমানী নদীর মাটি কেটে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই জায়গা ভরাট করছেন নিমাইচড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য রুহুল আমিন। গত শুক্রবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাউবোর জমি দখল করে মাটি ভরাট করা হয়েছে। পাশেই দু’টি খালের মাঝ দিয়ে যাওয়া সড়কটি ভেঙে গেছে।
সেখানে সরকারিভাবে সড়ক সংরক্ষণের জন্য প্রকল্প দিলেও তা আর করা যাচ্ছে না। কারণ মাটি দিয়ে খালের অংশ ভরাট করা হয়েছে। মাটি ভরাট করে প্রভাবশালী এই চক্রটি জায়গার পজেশন বিক্রি করে দিবে বলে একাধিক সূত্র জানায়।
নিমাইচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরজাহান বেগম মুক্তি জানান, সড়কের দু’পাশে খাল থাকায় সড়কটি ভেঙে যাচ্ছে। সেখানে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে প্যালাসাইটিং করার প্রকল্প দেওয়া হয়। কিন্তু সড়কের একপাশের খাল ভরাট করার ফলে প্রকল্পটি সেখানে আর করা যাচ্ছে না।
অভিযুক্ত সাবেক ইউপি সদস্য রুহুল আমিন বলেন, সড়ক বড় করার জন্যই মাটি ভরাট করা হয়েছে। এতে মানুষেরই ভালো হবে। জায়গাটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের বলে স্বীকার করেন তিনি। কার অনুমতি নিয়ে নদীর মাটি কাটা আর পাউবোর জায়গা ভরাট করছেন জানতে চাইলে কোনো সদুত্তোর দিতে পারেননি তিনি।
নিমাইচড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কামরুজ্জামান খোকনের সাথে কথা বলতে তার মুঠোফোনে গত শনিবার বিকেল ৫টার দিকে কয়েকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা বলেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর এসি ল্যান্ডের সাথে আলোচনা করে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।