ভিডিও

নন্দীগ্রামে অপ্রতিরোধ্য মাটিখেঁকো চক্র, মামলার পরও বেপরোয়া

টার্গেট ঈদের ছুটি, বেহাল দশায় সড়ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ০৭, ২০২৪, ১১:১৪ রাত
আপডেট: এপ্রিল ০৭, ২০২৪, ১১:১৪ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার নন্দীগ্রামে আবাদি জমি ও পুকুর সংস্কারের নামে ফের মাটি বিক্রি সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম শুরু হয়েছে।

ঈদুল ফিতরের ছুটিকে টার্গেট করে মাঠে নেমেছে মাটিখেঁকো চক্র। রাতের আধাঁরে কৃষি জমি ও পুকুরে চলে ধ্বংসযজ্ঞ। মাটিবাহী ট্রাক্টর চলাচল করায় সরকারের উন্নয়ন করা গুরুত্বপূর্ণ নতুন সড়কগুলো বেহাল দশায় পরিনত হচ্ছে।

সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কগুলোতে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে যানবাহন। সড়ক নষ্ট হয়ে প্রাণহানির শঙ্কা সৃষ্টি হলেও রহস্যজনক কারণে নিরব ভূমিকায় রয়েছে উপজেলা প্রশাসন। মাটি কেটে ট্রাক্টর দিয়ে নেওয়া হচ্ছে আশপাশের ভিটা ও আবাদি জমিতে। রাতভর হচ্ছে জমির শ্রেণি পরিবর্তন। বন্ধ হচ্ছে পানি নিস্কারণের পথ। এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কঠোরতা নেই বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা।

অভিযোগ উঠেছে, প্রতিটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই চলছে মাটি বিক্রির মহোৎসব। এদিকে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাসের ৬ তারিখ পর্যন্ত মাটিখনন করে বিক্রির অপরাধে থানায় ৭টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় পরদিন জামিন নিয়েই ফের বেপরোয়া হয়ে উঠে মাটিখেঁকো সিন্ডিকেট। এরা যেন অপ্রতিরোধ্য!

আজ রোববার (৭ এপ্রিল) সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, পৌর এলাকার নামুইট, উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের রুস্তমপুর, মাটিহাস, ভাটগ্রাম ইউনিয়নের গোছাইল, দামরুল, বুড়ইল ইউনিয়নের পোঁতা, দাশগ্রাম, পেংহাজারকি, তুলাশন হামিদ-বাজারসহ বেশকয়েকটি গ্রামে পুকুর সংস্কারের নামে এক্সকেভেটর (ভেকু) মেশিন দিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে।

প্রতিটি ট্রাক্টর মাটি বিক্রি হচ্ছে ৪শ’ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৮শ’ টাকায়। প্রত্যেক আবাদি জমি, ভিটা ও পুকুরখনন করে একেকটি চক্র প্রায় ৫হাজার ট্রাক্টর মাটি বিক্রি করছে। এ সব কাজের জন্য প্রায় ১০টি সিন্ডিকেট রয়েছে। সুত্র জানায়, ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে প্রশাসন ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নাম ভাঙিয়ে কৃষি জমি ধ্বংস ও পুকুরখননের নামে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ওই সিন্ডিকেট। মাটিবাহী ট্রাক্টর চলাচল করায় নষ্ট হচ্ছে সড়ক।

যোগাযোগ ব্যবস্থাগুলো মাটিতে একাকার হয়ে বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। সরকারের নিয়মনীতি মানছে না কেউ। মাটি কাটতে অনুমতিরও প্রয়োজন হচ্ছে না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে নামমাত্র আবেদন করেই পুকুর সংস্কারের নামে গভীর গর্ত করা হচ্ছে।

এমনকি পুকুরের তলদেশ থেকে বালু তুলে বিক্রি করছে ভেকু সিন্ডিকেট। জমির শ্রেণি পরিবর্তন ঠেকাতে উপজেলা প্রশাসনের কঠোরতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয়রা।

তবে নিয়মিত মামলা দায়েরকে গুরুত্ব দিচ্ছেন উপজেলা প্রশাসন। এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. হুমায়ুন কবির জানান, পুকুর সংস্কারের নামে ও আবাদি জমির মাটি কেটে বিক্রি ঠেকাতে নজরদারি রয়েছে।

এ ব্যাপারে থানার ওসির সঙ্গে কথা হয়েছে, সোমবার প্রস্তুতি সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। মাটি বিক্রির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হচ্ছে। 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS