স্টাফ রিপোর্টার ঃ বগুড়ায় রোববার সকালে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে বাংলা নতুন বছরকে (১৪৩১) বরণ করা হয়েছে। নববর্ষ উপলক্ষ্যে বগুড়া থিয়েটারের পক্ষ থেকে অন্যান্য বছরের মত এবারও স্থানীয় পৌর পার্কে ‘বৈশাখী মেলা’র আয়োজন করা হয়েছে।
‘লোকজ মেলা’র আয়োজন করা হয়েছে শহীদ খোকন পার্কে। এছাড়া শহরের জিরো পয়েন্ট সাতমাথায় মুজিব মঞ্চে ‘দিন বদলের মঞ্চ’ও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বর্ষবরণ করেছে।
করোনা পরিস্থিতি এবং রমজান মাসের কারণে ১৪২৭ থেকে ১৪৩০ পর্যন্ত (২০২০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ) শোভাযাত্রা বের করা সম্ভব হয়নি। ছিল না কোন আয়োজনও। তবে টানা চার বছর পর এবার বর্ষবরণের আয়োজনকে ঘিরে সব শ্রেণি পেশার মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে।
এবার বর্ষবরণের মূল আকর্ষণ আনন্দ শোভাযাত্রাটি রোববার সকাল সাড়ে ৮টায় স্থানীয় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বের করা হয়।
শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ শেষে আবারও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে শোভাযাত্রাটি শেষ হয়। জেলা প্রশাসন আয়োজিত আনন্দ শোভাযাত্রায় বগুড়া-৫ ও বগুড়া-৬ আসনের দুই সংসদ সদস্য যথাক্রমে মজিবর রহমান মজনু ও রাগেবুল আহসান রিপু, বগুড়া জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি) সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী ও দৈনিক করতোয়া সম্পাদক মোজাম্মেল হকসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
আনন্দ শোভাযাত্রায় ঢাক-ঢোলের তালে তালে নানা ধরনের প্রতীকী শিল্পকর্ম তুলে ধরা করা হয়। প্রত্যেকের হাতে, ভ্যানে, মাথায় বাঙালি সংস্কৃতির পরিচয়বাহী বিভিন্ন প্রতীকী উপকরণ, রং-বেরংয়ের নানা প্রাণির প্রতিকৃতি যেমন ঘোড়া, হাতি, মাছ, পালকি, ঘোড়ার গাড়ি, মোরগের লড়াই ও পেঁচা প্রতিকৃতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
বর্ষবরণ উপলক্ষ্যে বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ, করতোয়া মাল্টিমিডিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং বগুড়া পুলিশ লাইন্স স্কুল ও কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।