স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়া জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বাংলা নববর্ষ পালন করা হয়েছে। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বগুড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক মো: সাইফুল ইসলাম সকালে জাতীয় সংগীতের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এরপর কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অমর সৃষ্টি "এসো হে বৈশাখ এসো এসো" গানের সাথে নববর্ষকে বরণ করা হয়।
এর পর শহরে আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। একই সাথে লোকজ মেলা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
শোভাযাত্রায় বগুড়া-৫ ( শেরপুর-ধুনট) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু, বগুড়া-৬ সদর আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু, জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম, জেলা পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী, স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক মাসুম আলী বেগ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ মেজবাউল করিম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নিলুফা ইয়াসমিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আফসানা ইয়াসমিন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান সফিক, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরোজা পারভীন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা শাখার সাবেক কমান্ডার রুহুল আমিন বাবলুসহ জেলা প্রশাসন, সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।
আনন্দ শোভাযাত্রায় ঢাক-ঢোলের তালে তালে নানা ধরনের প্রতিকী শিল্পকর্ম তুলে ধরা হয়। র্যালিতে অংশ নেওয়া প্রত্যেকের হাতে, মাথায় বাঙালি সংস্কৃতির পরিচয়বাহী বিভিন্ন উপকরণ, দোয়েল পাখি, হাতি, ঘোড়া, মাছ, পালকি, ঘোড়ার গাড়ি, মোরগের লড়াই, ময়ূর, পেঁচা প্রতিকৃতি, লাঠি খেলা ও সাপ খেলা ছিলো চোখে পড়ার মতো।
এছাড়াও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও জেলা বিসিক কার্যালয়ের সহযোগিতায় শহীদ খোকন পার্কের মেলায় ৫০টি স্টল রয়েছে। মেলায় শিশুদের খেলনাসহ বিভিন্ন সামগ্রীর দোকান রয়েছে। এই মেলা চলবে সাত দিন। মেলায় প্রথম দিন থেকেই লোক সমাগম ছিলো উল্লেখযোগ্য। প্রতিদিন সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।