ভিডিও

ধুনটে অজ্ঞাত রোগে ফের ২৬টি গরুর মৃত্যু, দিশেহারা কৃষক

প্রকাশিত: এপ্রিল ২০, ২০২৪, ১০:৪৫ রাত
আপডেট: এপ্রিল ২০, ২০২৪, ১০:৪৫ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার ধুনটের এলাঙ্গী ইউনিয়নের শৈলমারি গ্রামে অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে ফের ১৮ জন কৃষকের ২৬টি গরু মারা গেছে। সর্বশেষ ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যার দিকে ওই গ্রামের কৃষক নুরুল ইসলামের ২টি গরু মারা যায়। ফলে খামারি ও গৃহস্থ পারিবারগুলো তাদের গরু নিয়ে চরম উৎকন্ঠার মধ্যে দিন যাপন করছেন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক সূত্রে জানা যায়, গত মার্চ মাসে হঠাৎ করেই উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে গরুর মৃত্যু মহামারি আকার ধরণ করে। ওই সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে জনবল ও প্রতিশেধক সংকট ছিল। ফলে গরুগুলো আক্রান্ত হলে উপজেলা প্রাণীসম্পদ কার্যালয়ে যোগাযোগ করে চিকিৎসাসেবা মিলেনি।

পরে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা করে গরুগুলো সুস্থ করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে চিকিৎসা অভাবে উপজেলায় খামারি ও কৃষকের শতাধিক গরুর মৃত্যু হয়। এ ঘটনা নিয়ে দৈনিক করতোয়ায় ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশের পর প্রাণিসম্পদ দপ্তরের হস্তক্ষেপে কৃষকের এ সমস্যার সমাধান হয়েছিল। কিন্ত হঠাৎ গত ২০ দিন আগে থেকে শৈলমারি গ্রামে অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে ২৬টি গরুর মৃত্যু হয়।

আক্রান্ত গরুর মুখ দিয়ে লালা ঝরা, জ্বর, দুর্বলতা ও কিছু না খাওয়া ছিল লক্ষণ। পরে ঘাড়বাঁকা হয়ে মারা যায় আক্রান্ত গরুটি। একই উপসর্গ নিয়ে আক্রান্ত গরুগুলো চিকিৎসা করার সুযোগ হয় না। এ বিষয়ে শৈলমারি গ্রামের নুরুল ইসলাম জানান, আমার গরুর মতো পার্শ্ববতি গ্রাম গুলোতেও গরু মারা যাচ্ছে। পল্লী চিকিৎসক সঠিক ভাবে রোগ নির্নয় করতে পারছে না।

তারপরও আমরা পল্লী চিকিৎসকদের সব পরামর্শ অনুযায়ীই কাজ করছি। গরুগুলো খাচ্ছে না ঠিকভাবে। 
ধুনট উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) ডাঃ হোসাইন মোঃ রাকিবুর রহমান বলেন, সংবাদ পেয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়েছে।

খুরা রোগে আক্রন্ত হয়ে গরু গুলো মারা গেছে। এ বিষয়ে প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের চিকিৎসক দল কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে কৃষকদের সচেতন করা হচ্ছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS