ভিডিও

বাউল শিল্পী শিরিনের লালনগীতিসহ নানা উপচারে শেষ হলো বগুড়া থিয়েটারের বৈশাখী মেলা

বাংলা সংস্কৃতি রক্ষায় এ মেলা বাঁচিয়ে রাখতে হবে : এসপি, বগুড়া

প্রকাশিত: এপ্রিল ২০, ২০২৪, ১০:৫৮ রাত
আপডেট: এপ্রিল ২০, ২০২৪, ১০:৫৮ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : শেষ হলো বগুড়া থিয়েটারের আয়োজনে সাত দিনব্যাপি ঐতিহ্যবাহী বৈশাখী মেলা। গত সাতটি দিন বাংলা সংস্কৃতিকে ভালবেসে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ মেলা প্রাঙ্গণ পৌর পার্কে উপস্থিত হয়েছিল। বৈশাখের প্রথম দিনে সূর্য উদয়ের সাথে সাথে পৃথিবীর মানুষের মঙ্গল কামনা করে মঙ্গলপত্র পাঠ করা হয়েছিল, একই সাথে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ভুলে মানবিক পৃথিবী সৃষ্টির জন্য মঙ্গল গীত পরিবেশন করা হয়।

বৈশাখী মেলার শেষ দিনেও মানবিক পৃথিবীর জন্য পরিবেশিত হয় লালনগীতি। বৈশাখী মেলা মঞ্চে আজ শনিবার (২০ এপ্রিল) সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী (বিপিএম, পিপিএম) বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন কাহালু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল-হাসিবুল হাসান কবিরাজ (সুরুজ), বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল হান্নান, বঙ্গবন্ধু পরিষদ বগুড়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডাঃ এস.এম. মিল্লাত হোসেন, জেলা কালচারাল অফিসার  শাহাদৎ হোসেন। আলোচনা সভার  সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং সংস্কৃতজন জি এম সাকলাইন বিটুল।

প্রধান অতিথি পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, বগুড়া থিয়েটার বাংলা সংস্কৃতি রক্ষায় যে কাজটি করে চলেছে তা অতুলনীয়। কেননা একটি মেলা জীবিত থাকলে তার সাথে জড়িত বহু মানুষের পেশা জীবিত থাকে। বৈশাখী মেলাকে উপলক্ষ করে মানুষে মানুষে সম্পর্ক উন্নয়ন ঘটে। তিনি আরো বলেন, বগুড়া থিয়েটারের এই মেলাকে জীবিত রাখার জন্য সকলের সহযোগিতা করা উচিত।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন মেলা কমিটির সদস্যসচিব তৌফিক হাসান ময়না। তৌফিক হোসেন ময়না সাত দিনের মেলাকে সফল করার জন্য জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বগুড়া পৌরসভা, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট,  বগুড়া থিয়েটার, কলেজ থিয়েটারের সকল নাট্যকর্মী, সংবাদকর্মীসহ বগুড়াবাসীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

মেলায় প্রতিদিনের মতো আজ শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে অনুষ্ঠিত হয় স্কুল নাটক। শেষদিনে স্কুল নাটক পরিবেশন কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, নিশিন্দারা ফকির উদ্দিন স্কুল ও কলেজ,  আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন স্কুল ও কলেজ ও ইউনিক পাবলিক স্কুল।

সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে বগুড়া পদাতিক, বগুড়া, নৃত্যনন্দন সাংস্কৃতিক একাডেমী ও কুষ্টিয়া থেকে আগত বাউল শিল্পী শিরিন বাউল সম্রাট লালন সাঁইজির অমর কথা ও বাণীর মিশ্রণে লালনগান পরিবেশন করে।

সবশেষে  একে একে নিভে যায় মঞ্চের আলো। গুটি গুটি পায়ে মানুষ ফিরে যায় নিজ গৃহে। শূন্য হয়ে যায় মেলা। এই শূন্যতার মাঝেই শুরু হয় আরো এক বছরের প্রতীক্ষা। নতুন বৈশাখের অপেক্ষা।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS