ভিডিও

ধুনটে যমুনার তীর রক্ষা বাঁধের ১০০ মিটার নদীতে বিলীন

প্রকাশিত: এপ্রিল ২২, ২০২৪, ১১:২৭ রাত
আপডেট: এপ্রিল ২৩, ২০২৪, ১২:০১ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি : অসময়ে ধুনট উপজেলায় ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নে যমুনা নদীর ডান তীর রক্ষা বাঁধে ফের ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। আজ সোমবার (২২ এপ্রিল) সকালের দিকে তীর রক্ষা প্রকল্প এলাকার ভুতবাড়ি গ্রামের সামনে থেকে প্রায় ১০০ মিটার অংশের সিসি ব্লক ধসে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এবার শুষ্ক মৌসুমেই দেখা দিয়েছে যমুনা নদীর ভাঙন। আর বর্ষা মৌসুমে যে কি হবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন যমুনা পাড়ের মানুষ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) অর্থায়নে ভাঙন রোধে যমুনা নদীর ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ হাতে নেওয়া হয়। এই প্রকল্পের আওতায় ২০১১ সালে প্রায় ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বরইতলী থেকে ভুতবাড়ি গ্রাম পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য বাঁধ রক্ষায় কাজ শেষ করা হয়।

ফলে যমুনা নদীর ভাঙন থেমে ছিল। সম্প্রতি নদীর পানি অনেক কমে গেছে। তবে পানির স্রোত রয়েছে। প্রবল স্রোতে ঘূর্ণেবর্তের সৃষ্টি হয়ে হঠাৎ করেই যুমনা নদীতে ভাঙন দেখা দেয়।

অব্যাহত ভাঙনের ফলে ভুতবাড়ি গ্রামের সামনের অংশে নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙন ধেয়ে আসছে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের দিকে। সর্বশেষ গত ৮ জানুয়ারী একই এলাকায় প্রায় ৫০ মিটার অংশ ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ওই সময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে ভাঙন স্থান মেরামত করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, প্রকল্পের কাজ শেষ করার পর থেকেই সিসি ব্লকে বাঁধানো তীর রক্ষা বাঁধ দফায় দফায় ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। সিসি ব্লকের বিভিন্ন অংশ ফাঁকা হয়ে যাওয়ায় ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে পুরো বাঁধ এলাকা।

এরই মধ্যে নদীগর্ভে ধসে গেছে তীর রক্ষা বাঁধের বেশ কিছু ব্লক। তৈরি হয়েছে বড় বড় ফাটল। ভাঙনে ঘরবাড়ি হারানোর ভয়ে আছেন নদীর তীরবর্তী মানুষ। ভাঙন রোধে যেভাবে কাজ হওয়া প্রয়োজন তা হচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন বাবু বলেন, যমুনা নদীর স্রোতের গতি বৃদ্ধি পেয়েছে। স্রোত বাঁধের নিচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় এ তীর রক্ষা বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এখন জরুরি ভিত্তিতে ভাঙনের স্থানগুলো মেরামত না করা হলে সম্পূর্ণ বাঁধই নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-সহকারী প্রকৌশলী নিবারণ চক্রবর্তী জানান, খবর পেয়ে ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নদী ভাঙনের বিষয়টি জানানো হয়েছে। বাঁধ সংস্কারের বিষয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS