ভিডিও

চাঁপাইনবাবগঞ্জে গভীর নলকূপের পাইপে পড়ে বাক প্রতিবন্ধী যুবকের মৃত্যু

ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ ঘন্টা রুদ্ধশ^াস চেষ্টায় লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৬, ২০২৪, ০৯:৫২ রাত
আপডেট: এপ্রিল ২৬, ২০২৪, ০৯:৫২ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি : ফায়ার সার্ভিসের চারটি উদ্ধারকারী দলের পাঁচ ঘন্টার রুদ্ধশ্বাস চেষ্টার পর চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার পূর্ব নেজামপুর গ্রাম সংলগ্ন একটি মাঠের পরিত্যক্ত গভীর নলকূপের পাইপের ১২০ ফুট গভীরে পড়ে যাওয়া বাক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী রনি বর্মণের (২৪) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রনি পূর্ব নেজামপুর গ্রামের চৈতন্য বর্মনের ছেলে।

ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, উপজেলা প্রশাসন, বিএমডিএ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গ্রামের অদূরে মাঠের ভেতরে একটি ঘরের মধ্যে অবস্থিত নলকূপের ১২ ইঞ্চি ব্যসের স্টিলের পাইপের মধ্যে পড়ে যায় রনি। এর পরপরই পাশ দিয়ে যাওয়া এক ব্যাক্তি কূপের ভেতরে গোঙানির শব্দ পেয়ে আশপাশের লোকজনকে জানান।

স্থানীয়রা দ্রুত ঘটনাটি ফায়ার সার্ভিস ও সংশ্লিষ্টদের জানালে সকলে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। বেলা ১১টা নাগাদ শুরু হয় উদ্ধার তৎপরতা। তবে জীবন্ত উদ্ধার করা যায়নি রনিকে। বিকেল ৪টার দিকে তাকে মৃত অবস্থায় কুপ থেকে তুলে আনেন ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা।

নাচোল ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ইনচার্জ লিডার এমদাদুল হক জানান, বেলা ১১টার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় উদ্ধার দল। এ সময় রনি জীবিত ছিল। শব্দ করছিল। কয়েক মিনিটের মধ্যেই উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়।

ডাকা হয় রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার ডুবুরি দলসহ উদ্ধার দলকে। রশির মাথায় হুক লাগিয়ে নিচে নামানো হয় ‘সার্চ ভিশন’ ক্যামেরা ও ভিডিও চালু করা মোবাইল ফোন। কিন্তু অত নিচে গভীর অন্ধকারে তেমন কিছু দেখা সম্ভব হ নি। রনির পিতাকে দিয়ে তাকে ডেকে অবস্থান বোঝার চেষ্টা করা হয়।

নামানো হয় খাবার পানি ও বিস্কুট। কিন্তু দুপুর ১২টার পর আর রনির জীবন্ত থাকার কোন আলামত পাওয়া যায়নি। পাইপের ভেতর ডুবুরি নামনো যায়নি বিষাক্ত গ্যাসের কারণে। তবে বিভিন্ন কায়দায় চলতে থাকে উদ্ধার অভিযান। বিকেলে পোশাক ও হাতে হুক আটকিয়ে রনিকে মৃত অবস্থায় উপরে ওঠানো হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নীলুফা সরকার বলেন, ঘটনাটি মর্মান্তিক। রনিকে জীবন্ত উদ্ধারে অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। রনির পরিবারকে প্রশাসনের পক্ষে সহযোগিতা করা হবে।  ঘটনায় বিএমডিএ’র দায় কতটুকু সে ব্যাখ্যা ও জবাব তারাই দেবে।

বিএমডিএ, নাচোলের সহকারী প্রকৌশলী রেজাউল করিম দাবি করেন, ঘরটি পুরোপুরি পরিত্যক্ত নয়। সেখানে পানির স্তর নেমে যাওয়ায় ২০ ফুট দূরে আরেকটি ঘর নির্মাণ করে সেখানে নতুন নলকূপ বসিয়ে সেখান থেকে জরুরি সেচের কাজ চালু করা হয়েছে মাত্র ৪/৫দিন আগে। তবে সব কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রণ হয় পুরাতন ঘর থেকে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS