ভিডিও

মধ্য বৈশাখের আগেই

৩৫ বছরের রেকর্ড স্পর্শ করতে যাচ্ছে বগুড়া, তাপমাত্রা ৪০.৮ ডিগ্রি সে.

রাস্তাঘাট ফাঁকা, বিদ্যুৎ দুর্ভোগকে নিয়ে যাচ্ছে চরমে

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৬, ২০২৪, ১০:১৯ রাত
আপডেট: এপ্রিল ২৬, ২০২৪, ১০:১৯ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : মধ্য বৈশাখের আগেই তাপমাত্রার উল্লম্ফন দেখে মনে হচ্ছে ৩৫ বছর আগে বগুড়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার যে রেকর্ড রয়েছে, খুব শিগগিরই তা অতিক্রম না হলেও এর খুব কাছাকাছি পৌছে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বগুড়া আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, আজ শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বগুড়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন অর্থাৎ গতকাল বৃহস্পতিবার জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

একদিনেই বেড়েছে ১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বগুড়া আবহাওয়া দফতর তাদের কাছে থাকা গত চারবছরের পরিসংখ্যান থেকে জানিয়েছে, এ সময়কালের মধ্যে আজ শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) তাপামাত্রাই ছিল সর্বোচ্চ। এর আগে ১৯৮৯ সালের ২১ এপ্রিল বগুড়ায় ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তবে কেন্দ্রিয়ভাবে আবহাওয়া দফতর আভাস দিয়েছে চলতি এপ্রিল মাসের পুরোটাই এভাবে তাপমাত্রার পারদ চড়তে থাকলেও মে মাসের শুরুতেই কিছুদিনের জন্য হলেও প্রত্যাশিত স্বস্তি মিলবে। সূত্রটি জানায়, মে মাসের প্রথম দিনেই আকাশে মেঘ দেখা দেবে এবং ২ তারিখ থেকে বৃষ্টি শুরু হবে, সাথে থাকবে কাল বৈশাখী ঝড়ও। এর ফলে তাপমাত্রা কিছুটা কমে যাবে।

এদিকে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে মানুষ বিনা প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে না। বগুড়া শহরের প্রাণ কেন্দ্র সাতমাথায় যানজট নিরসনে ইতোপূর্বে যেখানে ট্রাফিক পুলিশকে গলদঘর্ম হতে হয়েছে, সেখানে রুদ্র বৈশাখের আগ্রাসী থাবায় যানজট তো দূরের কথা দুপুরের খাঁ খাঁ রোদের মাঝে সেখানে কাকপক্ষীকেও দেখা যায়নি।

এ অবস্থা শুধু সাতমাথাতেই নয়, অন্যান্য সড়কেও ছিল একই চিত্র। আজ শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সাপ্তাহিত ছুটি থাকায় এমনিতেই রাস্তাঘাটে মানুষ ছিল খুব কম। আগে এদিনে কাাঁচা বাজারে প্রচন্ড ভিড় থাকলেও আজ শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) তার অর্ধেকও দেখা যায়নি। মোট কথা দিনের পুরোটাই বগুড়া শহর ছিল ফাঁকা ফাঁকা।

এদিকে বাড়িতে থেকেও স্বস্তিতে থাকা যায়নি। কারণ বিদ্যুতের লোডশেডিং তাপদাহের দুর্ভোগকে চরমে নিয়ে গেছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS