ভিডিও

১ মাস ১০ দিন পর বগুড়ায় এলো কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি (ভিডিওসহ)

প্রকাশিত: মে ০৪, ২০২৪, ০৯:৪৯ রাত
আপডেট: মে ০৪, ২০২৪, ০৯:৪৯ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : আকাশে দিনভর সূর্য আর মেঘের লুকোচুরি খেলা শেষে আজ শনিবার (৪ মে) বিকেলে এলো সেই কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি। দীর্ঘ ১ মাস ১০ দিন পর এই বৃষ্টি পরিমাণে কম হলেও জনজীবনে নিয়ে এসেছে স্বস্তি।

আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আজ বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে ৬টা ২০ মিনিট পর্যন্ত বগুড়ায় ৭ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

এর আগে গত মার্চ মাসের ২০ তারিখে ১৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছিল। এরপর দীর্ঘ খরায় পরিবেশ-প্রতিবেশে নাভিশ্বাস শুরু হয়েছিল। আবহাওয়ার দীর্ঘ মেয়াদী ও স্বল্পমেয়াদী পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টি শুরু হলেও বগুড়ায় ৪ অথবা ৫মে শুরু হবে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি।

আজ শনিবার (৪ মে) সকালটা মেঘের আড়ালে পাড় হলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে সূর্য হাজির হয় স্বমহিমায়। এ কারণে দীর্ঘ প্রায় সোয়া মাস সূর্য যেভাবে অসহনীয় উত্তাপ ছড়িয়েছে, আজ শনিবার (৪ মে)ও তা ছড়ানোর চেষ্টা করে। এ কারণে তাপমাত্রা একপর্যায়ে তথা বিকেল ৩ টায় ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌছে যায়।

এদিকে থেমে থাকেনি মেঘও। দিনে বেশ কয়েকবার নিজের শক্তিমত্তা দিয়ে সূর্যকে আড়াল করার চেষ্টা করে। প্রতিবারই পরাস্ত হলেও শেষে অস্তমিত হওয়ার আগ মুহূর্তে সূর্যকে পরাস্ত করে মেঘ তার কাছে জমে থাকা বৃষ্টি ঝরাতে শুরু করে। আর এ কারণে তাপমাত্রা এক লাফে ৪ ডিগ্রি কমে ৩২ ডিগ্রিতে নেমে আসে।

দাবদাহের মধ্যে বৃষ্টির দেখা পেয়ে অনেকেই বাড়িঘর ছেড়ে ভিজতে রাস্তায় নেমে আসেন। আনন্দে আত্মহারা হয়ে বাড়ির ছাদে, উঠানে, ছেলে-মেয়েদের নিয়ে মৌসুমের কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টিতে ভিজতে মেতে ওঠেন। ফলে কিছু সময়ের জন্য হলেও স্বস্তি পান শহরবাসী।

আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক নূরুল ইসলাম জানান, এরপর থেকে সপ্তাহজুড়ে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়তে থাকবে। সেই সাথে তাপমাত্রাও কমে যাবে। এদিকে  হঠাৎ বৃষ্টিতে কেউ কেউ ভোগান্তিতেও পড়েন।  তড়িঘরি করে  বিভিন্ন মার্কেটের ভেতর, দোকানের কার্ণিশের নিচে, রিকশার হুডের নিচে আশ্রয় নেন।

অন্যদিকে আবার অন্য চিত্রও দেখা যায়। টানা দাবদাহের গরম ঝেড়ে ফেলতে অনেকেই মোটরসাইকেলে, রিকশায়, আবার হেঁটে হেঁটেও অনেককে বৃষ্টিতে ভিজতে দেখা যায়।

বগুড়ার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা জানান, বৃষ্টি সবার জন্য আর্শিবাদ। আরও কিছুদিন এই দাবদাহ চলতে থাকলে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসত। এই বৃষ্টি জনমনে স্বস্তি এনে দিয়েছে। সেইসাথে প্রাণ-প্রকৃতি বাঁচলো।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS